পিবিএ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষকদের বলা হয় প্রাধ্যক্ষের সহকারী ‘হ্যান্ড’। হলে শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা প্রদান, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, পত্রিকা কক্ষ, হল লাইব্রেরির দেখাশোনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন, হলের সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ডাইনিংয়ের খাবারের মান পর্যবেক্ষণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ হলের শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য প্রাধ্যক্ষকে সহযোগিতার জন্য আবাসিক শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এসব দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রী হলের শিক্ষকদের মাঝেমধ্যে পাওয়া গেলেও ছাত্র হলের শিক্ষকদের বড় ধরনের কোনো অনুষ্ঠান না হলে পাওয়া যায় না। সহকারী আবাসিক শিক্ষকদের হলে রাত্রিযাপনের জন্য কক্ষ থাকলেও তারা হলে থাকে না। শিক্ষকরা হলে না আসায় তাদের চেনে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাই শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে শিক্ষকদের দ্বারস্থ না হয়ে অন্য উপায়ে তারা সমাধানের চেষ্টা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের নতুন করে আবাসিক শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে বর্তমানে ৭৬ জন আবাসিক শিক্ষক (ছাত্রী হলের ৬ জন সহকারীসহ) রয়েছেন। তাদের মধ্যে ছাত্রদের শাহ মখদুম, ছাত্রীদের রোকেয়া ও তাপসী রাবেয়া হলে তিনজন করে আবাসিক শিক্ষক রয়েছে। চারজন করে আছেন- ছাত্রদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শের-ই-বাংলা ফজলুল হক, মতিহার, ছাত্রীদের মন্নুজান ও রহমতুন্নেসা হলে।
নবাব আব্দুল লতিফ, সৈয়দ আমীর আলী, শহীদ শামসুজ্জোহা, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শহীদ জিয়াউর রহমান, মাদার বখশ হল এবং ছাত্রীদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলে চারজন করে। এছাড়াও ছাত্রদের শহীদ হবিবুর রহমান ও ছাত্রীদের বেগম খালেদা জিয়া হলে ছয় জন করে আবাসিক শিক্ষক রয়েছে। শিক্ষকদের দায়িত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সব শিক্ষকরা হলে আসে না এটা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। হলে আসেন তবে সময় একটু কম দেয়। কিছু কিছু শিক্ষককে সবসময় পাওয়া যায় আবার কাউকে অনুষ্ঠানেও পাওয়া যায়।’
শিক্ষকদের হলের রাত্রিযাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সহকারী আবাসিক শিক্ষক বলে একটি পদ রয়েছে। তাদের জন্য হলে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয় তবে হলে রাত্রিযাপন করার বাধ্যবাধকতা নেই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘এ বিষয়টি আগে জানা ছিল না। তারা আসে না কেনো জানার জন্য প্রাধ্যক্ষ পরিষদকে ডাকব। দায়িত্বে অবহেলার সুযোগ নেই। আমরা তরুণ শিক্ষকদের এমন দায়িত্বে রেখেছি যাতে তারা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারে।
পিবিএ/এসএফ/আরআই