রাবির মূল ফটকের সামনের রাস্তায় কোন ফুটওভার ব্রিজ নেই

পিবিএ,রাবি: শুক্রবার রাতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অতিক্রম করে রুমে যাচ্ছিলো রফিক। হঠাৎ একটি অটো-রিক্সার ধাক্কায় রাস্তায় লুটিয়ে পরলো সে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথার এক ফিট সামন দিয়ে চলে গেলো একটি বাস। দ্রুতবেগে ছুটে আসা অটোর গ্লাসের আঘাতে ভেঙ্গে গেলো তার একটি দাঁত, কিছুক্ষণের মধ্যে হাতে ও পায়ে প্রচন্ড আঘাতের দাগ ও ক্ষত চিহ্ন ফুটে উঠলো। কোন রকমে প্রাণে বাঁচলেও প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে সে।

ফুটওভার ব্রিজ নেই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রফিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল সন্ধ্যায় বিনোদপুর সংলগ্ন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে জেব্রা-ক্রসিং মেনে অতিক্রম করতে গিয়েও দুর্ঘটনার শিকার হয় সে। তাৎক্ষণিকভাবে রফিকের কয়েকজন সহপাঠীর সহযোগীতায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়া হয়।

এমন হাজারো শিক্ষার্থী ও পথচালক একের পর এক এমন দুর্ঘটনার শিকার প্রতিনিয়তই। কেউবা আহত হচ্ছে গুরুতরভাবে কেউবা অল্পের জন্য বেঁচে যাচ্ছে, কিন্তু মৃত্যুর ঝুকি কখনোই কমছে না। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিনোদপুর ও কাজলা মিলে মোট তিনটি ফটক রয়েছে। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি শত-শত রিক্সা, অটো-রিক্সা, লেগুনার অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি রাজশাহী টু ঢাকাগামী বাস ও মালবাহী ট্রাকের অপ্রতুলতা। সিঙ্গেল লেনের এই রাস্তায় যা চলাফেড়া করা যেন অনিরাপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তা পাড় হচ্ছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম পলাশ। কতটুক নিরাপদ এ রাস্তা জানতে তিনি বলেন, বিনোদপুর ও কাজলায় অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের চলাচল আমাদের জীবনের জন্য হুমকি। বেপরোয়া যানবাহন চলাচলের কারণে বিভিন্ন পথচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আমরা আর কোন হতাহতের বা মৃত্যুর কোন ঘটনা দেখতে চাই না। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে ফুটওভার ব্রিজ চাই। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নিকট বিনোদপুর এবং কাজলায় ফুটওভার ব্রিজে চেয়ে আবেদন করেছেন। কাজের কতটুক অগ্রগতি তা বলতে পারছি না।

এদিকে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এমএ বারী বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে শুনেছি অনেক আগে রসিক মেয়রের নিকট আবেদন করা হয়েছিলো। এর অগ্রগতি সম্পর্কে বলতে পারছি না।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিনোদপুর এবং কাজলায় অবশ্যই ফুটঅভার দরকার। এটা আসলে সিটি করপোরেশনের কাজ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে রসিক মেয়রের সাথে কথা বলা হয়েছে। আশা করি খুব অল্প সময়ে এর সমাধান হবে।

পিবিএ/এসএফ/আরআই

আরও পড়ুন...