পিবিএ,রাবি: গত বছরের ৮ মে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় রায় হয়। কিন্তু হত্যার রায়ের এক বছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ নিয়ে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে রায় কার্যকর নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহতের পরিবার।
সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৮ মে এই হত্যা মামলায় দুই জনের ফাঁসি এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন দেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার। এর মধ্যে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও মামলায় প্রধান আসামী শরিফুল ইসলাম এবং বগুড়া শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিবের ফাঁসি এবং নগরীর পবা উপজেলার নারকেলবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার এবং ছেলে রিপন আলী ও নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমতুল্লাহকে যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ দেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহতের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভী বলেন, হত্যার প্রায় তিন বছরের মাথায় রায় ঘোষণা করা হয়। আবার রায় ঘোষণার এক বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কার্যকরের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা আদালত। তাছাড়া আমরা খুব চিন্তিত যে, উচ্চ আদালতে আপিল করার পর অপরাধীদের শাস্তি কমে না যায়। আমরা অপেক্ষা করছি যেন দ্রুত রায় বাস্তবায়ন হয়। এসময় তিনি অতি দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির কাছে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন নগরীর গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক রেজাউস সাদিক। প্রায় সাড়ে ৬ মাসের তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর ৮ জনকে আসামী করে প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেন তিনি।
অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে তিনজন খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে নিলু ওরফে ওসমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এরপর ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। মামলায় ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১১ এপ্রিল উভয়পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ, শুনানি ও দুই দিনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
পিবিএ/এএইচ/আরআই