রামগড়ে পুত্রবধুর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে শ্বশুর শ্রীঘরে

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলায় নববিবাহিতা পুত্রবধুর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ শ্বশুর মো: আব্দুর রাজ্জাক(৫০)কে গ্রেফতার করেছে। গত মঙ্গলবার(১৮ই আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রামগড়ে দুর্গম হাতির খেদা নামক গ্রামের বাসিন্দা মো: আব্দুর রাজ্জাক গত মার্চ মাসে বড় ছেলে ইউসুফকে বিয়ে করান পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ির বান্দরমারা গ্রাম থেকে। ইউসুফ ঢাকা চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে চলাচলকারী একটি কাভার্ট ভ্যানের হেলপার হিসেবে চাকরি করেন। চাকরির কারণে তিনি অধিকাংশই বাহিরে থাকেন।

নববধু থাকেন শ্বশুরের ঘরের বারান্দার একটি কক্ষে। কদিন আগে রাত ১০টার দিকে টুথ পেস্ট ও বিস্কুট দেয়ার অজুহাতে পুত্রবধুর কক্ষে ঢুকেন শ্বশুর। এসময় পুত্রবধু রুমে একা শুয়ে ছিলেন। শ্বশুর হঠাৎ তার পুত্রবধুর হাত চেপে ধরেন এবং কুপ্রস্তাব দেন। শ্বশুরের এমন অশালীন আচরণ নিভৃত করার চেষ্টা করেন তিনি। এক পর্যায়ে গোপনে নিজের মোবাইল ফোনে বেসামাল শ্বশুরের অশালীন কথাবার্তার ভয়েজ রেকর্ড করেন পুত্রবধু।
পরে ঘটনাটি ফোনে জানালে স্বামী ইউসুফ বাড়ি এসে তার চাচার কাছে নালিশ দেন। চাচা প্রথমে পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে সামাজিকভাবে সালিশ বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হলে সমাজপতিদের ডাকে সাড়া না দিয়ে মো: আব্দুর রাজ্জাক গত রোববার(১৬ই আগস্ট) রামগড় থানায় এসে ছেলের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।

থানায় এ অভিযোগ দায়েরের কথা জানতে পেরে ছেলে ও তার স্ত্রী সোমবার হাতির খেদা গ্রামের সমাজপতিসহ এক-দেড়শ গ্রামবাসিকে নিয়ে থানায় এসে পুত্রবধুর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত শ্বশুর মো: আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে।
রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মো: ফরহাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই পুত্রবধু নিজেই বাদি হয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর সংশোধিত ২০০৩এর ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রাতেই পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত শ্বশুর মো: আব্দুর রাজ্জাককে আদালতের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পিবিএ/চাইথোয়াই মারমা/এসডি

আরও পড়ুন...