রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের পক্ষে এই প্রতিক্রিয়া জানান।
২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় বলেছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী মহাসমাবেশ আয়োজনে বিরোধী দলের সঙ্গে পরিকল্পনা করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মারিয়া জাখারোভা। তাঁর বার্তাটি ঢাকার রাশিয়ান দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়।
মারিয়া জাখারোভার বক্তব্যের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বিএনপি নেতা রুহুল কবির বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অবস্থানের সঙ্গে রাশিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্য সাংঘর্ষিক।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে রাশিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্যকে ভ্রান্ত ও অপব্যাখ্যা উল্লেখ করে বিবৃতিতে রুহুল কবির বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কলঙ্কিত ইতিহাস তৈরি করেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারকে রাষ্ট্রক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
বিএনপি আরও বলেছে, শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচিগুলোয় জনগণের নৈতিক সমর্থন রয়েছে। বিএনপির সমাবেশ আয়োজনে কোনো বিদেশি কূটনীতিক সহায়তা করেছেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত অভিযোগ আগে উত্থাপিত হয়নি। এ ধরনের বাস্তবতা-বিবর্জিত বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষার বিরোধী বলে প্রতীয়মান হয়।
রাশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু উল্লেখ করে বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্মান করবে বলে এ দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। এ ছাড়া গণ-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য কোনো রাষ্ট্র, বর্তমান সরকারকে অযাচিত সমর্থন করবে না বলেও বিএনপি মনে করে।