রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বজায় রেখে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বাংলাদেশ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বজায় রেখে সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাবে। বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন ও তাদের প্রেরিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজস্বতা ও মর্যাদা বজায় রেখে প্রতিবেশীসহ সকল দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাব। ছাত্র জনতার আকাঙ্খা পূরণে ও দেশের স্বার্থ রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের সাইডলাইনে “ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ“ শীর্ষক একটি সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর এনআরবি ‘র উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এনআরবি সেন্টারের চেয়ারপার্সন এম এম এস সেকিল চৌধুরী। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতিসংঘ স্কলার ও চিন্তাবিদ ইন্দোনেশিয়ার ড. শামসী আলী, জাতিসংঘের পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ইনা ইসলাম, লন্ডন ব্রান্ট কাউন্সিলের প্রাক্তন মেয়র পারভেজ আহমদ ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতা মো. সবুর খান।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ নেন এনআরবি সেন্টার আমেরিকার সাপোর্ট গ্রুপের প্রতিনিধি ব্যবসায়ী সানওয়ার চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক শামসাদ হুসাম, সমাজসেবী বদরুন নাহার মিতা ও কবির চৌধুরী, মহিলা উদ্যোক্তা তহুরা চৌধুরী, এডভোকেট নাসির উদ্দীন, কমিউনিটি নেতা রোকন হাকিম, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বদরুল আলম, ব্যবসায়ী নেতা লিটন আহমদ, ব্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরী, সমাজসেবী আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর আহমদ, তরুণ উদ্যোক্তা শেখ ফরহাদ প্রমুখ।

বক্তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি দল নিরপেক্ষ মেধাবী ব্যক্তিদেরও কাজে লাগাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে এম এস সেকিল চৌধুরী বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে দেশের ব্র্যান্ডিং করছেন, রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছেন সুতরাং রাষ্ট্রকে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট নবায়নসহ অত্যাবশ্যকীয় কনসুলার সেবাগুলো সহজলভ্য করতে হবে। সেকিল চৌধুরী বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীরা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন, তাদের ত্যাগ বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে এ কাজকে আরও এগিয়ে নিতে যেতে হবে।

তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে দলবাজির বাইরে রাখতে হবে, কূটনৈতিকদের দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে হবে, মিশনগুলোতে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, মিশন কর্মকর্তাদের অযথা কাজে যোগদান থেকে বিরত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন...