ওবায়দুল ইসলাম রবি,রাজশাহী: করোনা মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে ত্রাণ তহবিল গঠন করে অনুদান প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এগিয়ে আসছে। এমনকি স্কুল শিক্ষার্থী নিজের মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা অনুদান দিয়েছে ত্রাণ তহবিলে। তবে এবার সবাইকে ছাপিয়ে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলো ৭ মাস বয়সী এক শিশু। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তায় মেয়রের ত্রাণ তহবিলে ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছে শিশুটি! আরিয়াত রহমান সোয়াইব নামের শিশুটিই মেয়রের ত্রাণ তহবিলের সর্বকনিষ্ঠ দাতা।
শিশু সোয়াইব মহানগরীর উপশহর নিবাসী আলমগীর ও সুফিয়া বেগমের সন্তান। শিশুকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে আসেন বাবা-মা। এরপর শিশু সোয়াইবের উপহার পাওয়া ৫৫ হাজার টাকা তুলে দেন মেয়রের হাতে। এতে আবেগ্লাপুত ও অভিভূত মেয়র। তাৎক্ষণিক কোলে তুলে নেন ত্রাণ তহবিলের সর্বকনিষ্ঠ দাতা শিশু সোয়াইবকে।
শিশু সোয়াইবের বাবা মোঃ আলমগীর বলেন, আমার দুই মেয়ে সন্তান আছে। ছোট মেয়ের জন্মের ১৫ বছর পর পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছি। এ উপলক্ষে শিশুপুত্র সোয়াইবকে অনেক আত্মীয়-স্বজন উপহার ও নগদ অর্থ দিয়েছেন। শিশু সোয়াইবের ৫৫ হাজার টাকা আজ মেয়রের ত্রাণ তহবিলে দিয়েছি। আসলে মেয়র মহোদয় মানুষের কল্যানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এটি ছেলের মা সুফিয়াকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। তার উৎসাহে ছেলেকে নিয়ে নগর ভবনে হাজির হয়েছি। অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে মেয়র মহোদয় আপ্রাণ প্রচেষ্টা করছেন, সেজন্য মেয়রের ত্রাণ তহবিলে কিছু অর্থ দিতে পেরে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। আমাদের সমাজের সামর্থবানদের উচিত মেয়রের মহতি উদ্যোগের পাশে থাকা।
এ ব্যাপারে সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শিশু সোয়াইব ত্রাণ তহবিলের সর্বকনিষ্ঠ দাতা। শিশু সোয়াইবের উপহারের টাকা তার হয়ে পিতা-মাতা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছে। বিষয়টি আমাকে আবেগ্লাপুত ও অভিভূত করেছে। আজকের এই শিশুরাই আগামীর দিনের ভবিষ্যৎ। পিতা-মাতার সঠিক আদর্শে শিশুরা প্রকৃত মানুষ ও মানবিক হয়ে বড় হয়ে উঠুক-এই দোয়া করি। গত ১৪ এপ্রিল এক বিবৃতিতে কর্মহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ত্রাণ তহবিলে নগদ অর্থ- নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রদানের আহ্বান জানান মেয়র। এরপর মেয়রের আহ্বান সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসছেন অনেক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।
পিবিএ/বিএইচ