প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনসাধারণের জান-মাল রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। অপরদিকে কিছু অসাধু ফটকাবাজ রাজনীতিবিদ, দূর্ণীতিবিদ আমলা আর ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কারনে মানুষ ভুক্তভুগি হচ্ছে। সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়। রিজেন্ট হাসপাতাল কান্ড তার সবশেষ নজির।
ভুয়া করোনা পরীক্ষা, ভুয়া বিল, ভুয়া রির্পোট, ভুয়া বিলে সরকারি টাকা উত্তোলন। ৬ বছর তাদের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। ভুয়া-ভুয়া-ভুয়া। রিজেন্ট হাসপাতালই ভুয়া।
অথচ শুরুতে যখন রিজেন্টকে করোনা হাসপাতাল করা হয় তখন স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে রিজেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। অতিতেও রিজেন্টের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিলো। তা জেনেই স্থানীয় মানুষ সেসময় প্রতিবাদ করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোন কর্ণপাত করেনি। কি ভাবে এমন একটি হাসপাতাল চলতে পারে। তার উপর এই মহামারি কালে সরকারের সাথে করোনা পরীক্ষার চুক্তিও করেছে। এখন স্বাস্থ অধিদপ্তর মুখে কুলুপ এটেছে।
করোনা মহামারি। সারা বিশে^ মানব জাতি চরম সংকটময় পরিস্থিতেতে বিপর্যস্ত। এর মাঝে চরম অনৈতিক এসব মানুষের চরিত্র। নিজেদের স্বার্থে কোন কিছু করতেই দ্বিধা করছে না। মানুষের জীবন নিয়ে একি ছিনিমনি খেলা। সম্প্রতি জেকেজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অন্যদের কোন খোঁজ খবর রাখেনি। তাছাড়া তাদের লাইসেন্স ৬ বছর যাবৎ নবায়ন হয় না। তাহলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজটা কি!
শুধুমাত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লোক দেখানো শাস্তি দিলে হবে না। তাহলে ভবিষ্যতে এমন চলতেই থাকবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আমলাদের শাস্তি হওয়া উচিত। তাছাড়া ভুক্তভুগিদের অর্থ ফেরতের ব্যবস্থাও করতে হবে। জেকেজি ও রিজেন্টের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কি সর্তক হবে। আশা করি সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ অন্যান্য হাসপাতাল গুলোতে কি হচ্ছে তা কি তলিয়ে দেখবে। তা না হলে এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনায় সরকারের যে! ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
পিবিএ/শতাব্দী আলম