রিফাত হত্যা : ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

পিবিএ,বরগুনা: বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। এসময় আদালত এ মামলায় পলাতক নয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বুধবার বেলা সোয়া ২টার দিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এই আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মুজিবুল হক কিসলু বলেন, বুধবার আদালত পুলিশের অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক নয় আসামির বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করে।

“এছাড়া বিচারক দুটি আদালতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের শুনানি হবে বিচারিক হাকিমের আদালতে। আর ১৪ জনের শুনানি হবে শিশু আদালতে। ২২ সেপ্টেম্বর শিশু আদালতে আর ৩ অক্টোবর বিচারিক হাকিমের আদালতে এই শুনানি হবে। শুনানিতে সিদ্ধান্ত হবে এদের সবার বিচার হবে কিনা।”

পুলিশ দুটি ভাগে এই ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এক ভাগে ১০ আসামি আর অন্য ভাগে রয়েছে ১৪ কিশোর।

আসামিদের মধ্যে ১৫ জন আটক হয়েছেন। আর নয়জন এখনও পলাতক।

গত ২৬ জুন বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়।

এরপর ২ জুলাই এ হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়। কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে এখন বাবার বাড়িতে রয়েছেন মিন্নি।

মামলার ১৪ কিশোর আসামি বাদে অন্য আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...