পিবিএ ঢাকা: সদ্যবিদায়ী বছর (২০১৯ সাল) বিদেশে সাত লাখ এক হাজার বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, চলতি বছর সাড়ে সাত লাখ কর্মী বিদেশ পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মী কম গেলেও রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে এটা আশার খবর। ২০১৯ সালে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। সরকারের ২ শতাংশ প্রণােদনা ঘােষণার প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
রোববার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে রিপোর্টার ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। ৭ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই এক বছরের অগ্রগতিও তুলে ধরেন তিনি।
কর্মী কম যাওয়ার কারণ হিসেবে মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, সারাবিশ্বে চাহিদার পরিবর্তন এসেছে। এখন দক্ষ কর্মীর চাহিদা বেশি। সে চাহিদা পূরণ করতে না পারলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এ কারণে দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে আমরা নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। দক্ষকর্মী তৈরি আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কারণ দেশেও দক্ষকর্মী প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া, জাপান আমাদের কাছে আইটিতে দক্ষকর্মী চায়। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। দেশের তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগাতে হবে। আমরা ভাষাগত দক্ষতায় পিছিয়ে থাকায় জাপানে চাহিদা থাকলেও কম লোক পাঠাতে পারছি। জাপানি ভাষা জানলেই এক থেকে দেড় লাখ টাকা বেতনের চাকরি দিচ্ছে জাপান।
নতুন শ্রমবাজার সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, কম্বােডিয়া, সেশেলস, হারজেগােভিনা, রােমানিয়া, হাঙ্গেরি, পােল্যান্ড, চীনে কর্মী প্রেরণ শুরু করা হয়েছে। এ বছর আরও বেশি নতুন কর্মী প্রেরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পোল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে।
এছাড়া মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বন্ধ বাজার খােলার জন্য সফল উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রবাসীকল্যাণ সচিব সেলিম রেজা বলেন, বিদায়ী বছরে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে জেলাভিত্তিক কর্মসংস্থান বিশ্লেষণে প্রথম পাঁচ জেলার স্থানে রয়েছে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও ঢাকা। সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মী গেছে সৌদি আরব, এরপর রয়েছে ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
তিনি জানান, ২০১৯ সালে বিদেশ যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ছিল দক্ষকর্মী ৪৪ ও আধাদক্ষ ২০ শতাংশ।
সেলিম রেজা জানান, এ বছর বিদেশ যাওয়া নারীকর্মীর সংখ্যা এক লাখ ১১ হাজার। তাদের সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা। তাদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত অবস্থার উন্নয়নে মন্ত্রণালয় নারীকর্মীদের অভিবাসনকে অধিকতর সুরক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পিবিএ/এমআর