পিবিএ,ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি-বারইখালী সড়কের নবগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত সেতুর রেলিংয়ের রড চুরি হয়েছে। রেলিং ছাড়া সেতুতে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। কিন্তু সংষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।
জানাগেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বারইখালী, ইস্তেকাপুর, আড়–য়াডাঙ্গা ও বাস্তেপুর নামের চারটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন বাঁশের সাকো ব্যবহার করতেন। বারইখালী গ্রামের শেষে নবগঙ্গা নদীতে এই সাকো বসিয়ে ঝিনাইদহ শহরে যাতায়াত করতেন। তাদের এই অবস্থা দেখে এবং এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০০২-০৩ অর্থ বছরে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ এই স্থানে ৩৯ মিটার লম্বা একটি সেতু নির্মান করেন। ২০০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে ওই এলাকার মানুষগুলো সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছেন।
বারইখালী গ্রামের সলিম উদ্দিন লষ্কার জানান, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে সেতুটি বানানোর ফলে গত ৩ থেকে ৪ বছর পর থেকে সেতুর রেলিং ভাংতে শুরু করে। প্রথমে একপাশের রেলিং ভেঙ্গে পড়ে। এর কয়েক মাসের মধ্যে আরেক পাশের রেলিংও ভেঙ্গে যায়। মাঝে মধ্যে দুই একটা পিলার দাড়িয়ে থাকলেও গত ২ বছর হলো যার একটিও আর নেই। এমনকি দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারনে রেলিং নির্মান করতে যে রড় ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলোও চোরেরা কেটে নিয়ে গেছে। এখন দেখলে খুব একটা বোঝার উপায় নেই এই সেতুতে কখনও রেলিং ছিল।
ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, এই সেতুটি ব্যবহার না করলে নাইদহ শহরে আসতে তাদের আরো তিন কিলোমিটার ঘুরতে হয়। যে কারনে ঝুকি হলেও তারা এই সেতুই ব্যবহার করেন। তিনি জানান, রেলিং না থাকায় ভ্যান-রিক্সা সেতুর উপর উঠতে চান না। যারা ঝুকি নিয়ে ওঠেন, তাদেরও মাঝে মধ্যে নিচে পড়ে যাবার ঘটনা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, সড়কটি গ্রাম্য সড়ক। সেই সময়ে এলাকার মানুষের প্রয়োজনে সেতুটি নির্মান হলেও এখন গ্রাম্য সড়কের সংষ্কার কাজে বাজেট পাওয়া কষ্টকর। যে কারনে তারা ইচ্ছা থাকলেও এটা মেরাতম করতে পারছেন না। তবে সেতুটি খুবই ঝুকিপূর্ণ এবং দেখলে তার কষ্ট হয় বলে জানান।
তিনি আরো জানান, বাসুদেবপুর ও ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের সংযোগ স্থাপন করেছে এই সেতুটি।
পিবিএ/এজে/এফএস