রেলের যৌবন ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার: সৈয়দপুরে রেলমন্ত্রী

nill-pba

পিবিএ,নীলফামারী: রেলের যৌবন ফিরিয়ে আনতে সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে রেলের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরি চিলাহাটি-হলদিবাড়ী, পঞ্চগড়-শিলিগুড়ি, আখাউড়া-আনসারগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী এডভোকেট নূরুল ইসলাম সূজন।

৭ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত নতুন ১৫টি কোচ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদে সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, রেলওয়ের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের জন্য রেলওয়েকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী রেলপথ যোগাযোগ সহজ করতে নতুন নতুন লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। সরকারের উদ্দেশ্যে সারা দেশের প্রতিটি জেলার সাথেই রেলপথ যোগাযোগ স্থাপন ও সহজ করা।
তাই এ ব্যাপারে তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা ইতিমধ্যে মিটার গেজের সাড়ে ৫শ নতুন কোচ, ১শ’ নতুন ইঞ্জিন ও মালামাল পরিবহনের জন্য নতুন ওয়াগন আমদানি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। শুধুমাত্র সড়ক পথে ঘন বসতি পূর্ণ বাংলাদেশের জনগনের যাতায়াত ব্যবস্থার সমাধান করা যাবে না, তাই অতিদ্রুত রেল বহরে উল্লেখিত কোচ, ইঞ্জিন ও ওয়াগন যুক্ত কওে রেলকে যুগোপযোগি করা হবে।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ৫০টি কোচের মধ্যে ১৫টি ইতোমধ্যে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পৌছেছে। আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে আরও ১৮টি এবং মে মাসের মধ্যে বাকি ১৭টি কোচ এসে পৌছবে। এসব কোচ পরীক্ষা নিরিক্ষার পর ট্রেন বহরে বিভিন্ন রুটে যোগ করা হবে।
রেলওয়ের স্থাপনা ও জমি অবৈধ দখলে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, হারিয়ে যাওয়া রেলের যৌবন ফিরিয়ে আনতে আমরা রেল এবং রেলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি। যৌবন ফিরে এলেই নতুন যৌবন পাওয়া রেলে কর্মীরাই দখলে যাওয়া জমি ও স্থাপনা উদ্ধার করবে।
সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে দিবাকালীন ট্রেন চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রেলওয়ের উন্নয়ের ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে সব করা হবে।
এর আগে মন্ত্রী নবরূপে আধুনিকায়ন করা ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত রেলকোচ গুলো পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি প্রতিটি বগি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং নতুন রূপে এসব কোচ সাজানোর মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কারখানা পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েল জিএম খন্দকার শহিদুল ইসলাম, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) জয়দুল ইসলাম, পার্বতীপুর লোকেমোটিভ কারখানার সিএক্স কুদরত-ই-খুদা, মন্ত্রীর এপিএস রাশেদ প্রধান সহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

পিবিএ/জেএইচ/হক

আরও পড়ুন...