রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম

পিবিএ ডেস্ক: কথায় বলে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। রোগ হলে সুখ চলে যায়। অসুখ যাতে না হয়, কিংবা হলেও কীভাবে ভালো হওয়া যায় এবং ভালো থাকা যায়, তা জানা ও মেনে চলা খুবই দরকারী। স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়ম ভালো করে জানার আগে একটা কথা মনে রাখতে হবে, শরীর ও মন একসঙ্গে জড়িত। কাজেই দুটোকেই গুরুত্ব দিতে হবে।আর খাদ্য ও পানীয় গ্রহণে বাছবিচার ছাড়াও শরীর ও মনকে সচল রাখার জন্য দরকার উপযুক্ত ব্যায়াম।

সব ব্যায়ামেই উপকার হয়। তবে বয়স, শারীরিক অবস্থানুযায়ী প্রয়োজন, পরিবেশগত সুবিধা, সময়ের সীমাবদ্ধতা ও মানসিক প্রবণতার কথা ভেবে ব্যায়াম বেছে নেয়া ভালো। কিন্তু কিছু ব্যায়াম আছে যা একেবারে শয্যাশায়ী বা চলাফেরায় অক্ষম না হলে সবার পক্ষেই করা সম্ভব।

আমাদের উপমহাদেশে উদ্ভাবিত যোগ ব্যায়াম আজ সারা পৃথিবীতে সমাদৃত, অথচ আমরা অনেকে এ বিষয়ে অজ্ঞ। এ ব্যায়ামের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিভিন্ন দেহভঙ্গিমা, যাকে আসন বলা হয়। এক এক আসনে দেহে এক একভাবে চাপ পড়ে, যা দেহের এক এক অংশের উপকার সাধন করে। শরীরের বিভিন্ন অংশে পালাক্রমে চাপ সৃষ্টি এবং তা শিথিল করার মাধ্যমে এ ব্যায়াম সম্পন্ন হয়। এর সঙ্গে অন্যান্য ব্যায়াম চালিয়ে গেলে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। যেমন হাঁটা। প্রতিদিন কমপক্ষে আধঘণ্টা জোরে জোরে হাঁটলে শরীর নমনীয় থাকে ও মগজে প্রচুর অক্সিজেন ঢোকে বলে উদ্বেগ বা টেনশন কমে।

উপযুক্ত ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস এবং প্রফুল্ল মনই হচ্ছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। আসলে আমাদের জীবনে এত দুশ্চিন্তা বা টেনশন থাকে যে, আমরা হাসিখুশি থাকতে পারি না। সুতরাং ভালোভাবে বাঁচতে চাইলে মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। এজন্য ভালো চিন্তা ও ভালো কাজের কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে নিজেকে জড়াতে হবে কোনো না কোনো সৃজনশীল কাজের সঙ্গে।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...