রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে অনীহা: ২বছরে ৯১ হাজার শিশুর জন্ম

পিবিএ কক্সবাজার: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রাখাইনের রোহিঙ্গারা। দেখতে দেখতে এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার পেরিয়ে গেছে দুটি বছর। যদিও আগেও তারা বাংলাদেশে এসেছে, তবে ব্যাপকভাবে আসতে শুরু করে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট থেকে।

বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩২ টি ক্যাম্পে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসতি। নতুন পুরাতন মিলে তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে গত দুই বছরে জন্ম নেওয়া ৯১ হাজার শিশু।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র জনসংখ্যা বিষয়ক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের সংখ্যাও কম। নেই কোনও আগ্রহ। এক একটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা গড়ে ১০ থেকে ১৫ জনের মতো।

বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা তাদের খাবার এর ব্যবস্থা করছে। বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি । অনেকে আবার এখানে এসে ক্যাম্পে বিয়ে করেছেন। এসব রোহিঙ্গা নারীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের আগ্রহ কম বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক ডাক্তার পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, সরকারি বেসরকারি ১২০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এসব রোহিঙ্গা নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ জনের মধ্যে।

ইউএনএইচসিআরের জনসংখ্যা বিষয়ক রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দোজা নয়ন গণমাধ্যমকে জানান, গত ২ বছরে ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯১ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। তারমধ্যে ১ বছরের নিচে রয়েছে ৩১ হাজার শিশু। আর দু বছরের নিচে রয়েছে ৬০ হাজার শিশু। জনসংখ্যা রোধ করতে ক্যাম্পগুলোতে নানা কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রোহিঙ্গাদের এখানে বসবাসের পাশাপাশি তাদের মানবিক কারণে খাবারের ব্যবস্থা করা ও সেই সাথে নিজ দেশে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

 

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...