রোহিঙ্গা চলচ্চিত্রে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে আর্শি

ইমরুল শাহেদ : ‘রোহিঙ্গা ছবিতে বলতে গেলে আমি একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছি। আসলে অভিনেত্রী হিসেবে আমি চরিত্রের কাছে কিছু চাই না। কিন্তু গল্প এবং চরিত্র আমার কাছে কি চায় সেটাই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আমি চরিত্রের চাওয়াকে পূর্ণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করি। কিন্তু যে চরিত্রটি শুনিয়ে একজনকে ছবিতে নেওয়া হয় সেটি কাটছাট না করলেই ভালো। তাতে একজনের শিল্পীসত্ত্বাকে অপমান করা হয় এবং চরিত্রের প্রতি মনোযোগ নষ্ট করা হয়। চলচ্চিত্রশিল্পে এ ধরনের ঘটনা অহরহই ঘটছে।’


এ কথা বলেছেন এক ছবি বয়সী নায়িকা আর্শি হোসেন, যিনি শুধু আর্শি হিসেবে সমধিক পরিচিত। তার অভিনীত ‘বাজে ছেলে : দি লোফার’ মুক্তি পেয়েছে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত রোহিঙ্গা ছবিতে। এ ছবির চরিত্র আছিয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা আছিয়া। সেনা বাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে প্রেমিক নেওয়াজকে নিয়ে সেখান থেকে পালায় তারা। ছুটতে থাকে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে। কিন্তু কিছুটা চলে আসার পর নওয়াজের মনে পড়ে সে হোয়াইট কার্ড ফেলে এসেছে। সে আছিয়াকে পথে বসিয়ে রেখে চলে যায়।’ এভাবেই দুটি চরিত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গল্পের এক পর্যায়ে তাদের আবার দেখা হয়। বিভিন্ন নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে চরিত্র দুটির পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।

আর্শি হাসতে হাসতে বলেন, আমি ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত রাগী। কিন্তু আছিয়া চরিত্রটি তার একেবারেই বিপরীত। আছিয়া চরিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে আমাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। কারণ আমি রোহিঙ্গা ভাষা জানি না। সেটা রপ্ত করে তাদের মতো করে অভিব্যক্তি প্রকাশ করাও ছিল আমার জন্য কঠিন। তারপরও আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি পরিচালকের চাওয়া মাফিক কাজ করার। এ ছবিতে আর্শি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন বলে জানালেন। ভাষা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে গেলে শব্দবন্দী দার্শনিক গাম্ভীর্যপূর্ণ বাক্য সম্ভার আমাকে কখনোই অভিভূত করে না। আমি মুক্ত শব্দে বিচরণ করতে পছন্দ করি। কিন্তু চরিত্রের সংলাপ ছিল চমৎকার। শুধু অনভ্যস্ততার কারণে সংলাপের অন্তরাত্মায় প্রবেশ করতে কষ্ট হয়েছে।

শাবানাভক্ত আর্শি বলেন, পরিচালকের চাওয়া মতো সংলাপ আতস্থ করার চেষ্টা করেছি। কারণ এখন আমি একজন পেশাদার অভিনেত্রী। আগে আমার কাছে অভিনয়টা ছিল শখ – এখন নেশা ও পেশা। বলতে পারেন জীবিকাও। সহকর্মীদের সম্পর্কে আর্শি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যারা কাজ করেন তারা সবাই আমার বন্ধু। সকলের প্রতি আমরা সবাই সমান সহানুভূতিশীল।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...