![](https://www.pba.agency/wp-content/uploads/2025/01/PBA_Arrested-163.gif)
র্যাব-১১, সিপিসি-২ জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। র্যাব-১১, সিপিসি-২ বিগত ২০২৪ সালে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৫৮টি মাদক মামলায় মোট ৩,৩৭৭ কেজি গাঁজা, ৫,৯৯৭ বোতল ফেন্সিডিল, ৭৩,৮৯৮ পিস ইয়াবা, ৭৭৭ বোতল বিদেশী মদ, ৩৪,৮২০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ ২৬৪ জন মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে ০২টি বিদেশী পিস্তল, ০২ টি এলজি ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার পূর্বক ০৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ১৫ জন চাঞ্চল্যকর অপরাধী, ০৯ জন ডাকাত, ৪০ জন কিশোর গ্যাং, ১৪ জন মৃত্যুদন্ড/যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ২৮ জন চাঁদাবাজ’সহ বিভিন্ন মামলার সর্বমোট ৪৭৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
গত ০৯ জানুয়ারি দুপুর ১৩০০ ঘটিকা হতে বিকাল ১৬০০ ঘটিকা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন নুরপুর সাকিনস্থ সেবাখোলা বাজারের জনৈক খোকন স’মিলের টিনের ঘরের ভিতর দুই নারীকে গণধর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম লাকি বেগম (৪০) বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ধামতী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহারনামীয় ০৪ নং আসামী মোঃ খোকন (৪২)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর উপ-পরিচালক ও কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ধৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম মায়া খাতুন (২০) এর সহিত ০১ নং আসামী সহিদ (২৬) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার দিন সকালে আসামী সহিদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে দেখা করার জন্য আসতে বলে। তখন ভিকটিম মায়া খাতুন তার সাথে অন্য ভিকটিম লাকি বেগম (৪০)’কে নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজারে গেলে আসামী সহিদ ভিকটিমদ্বয়কে নিয়ে অটোরিক্সাযোগে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিম মায়া খাতুন’কে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম মায়া উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরবর্তীতে আসামী সহিদ সুযোগ বুঝে ভিকটিমদ্বয়কে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং তার পরিকল্পনা মোতাবেক সেখানে পূর্ব থেকে ৭-৮ জন অবস্থান করছিল। ভিকটিমদ্বয়কে সেখানে নেয়ার পর আসামী সহিদ’সহ অন্যান্য ৭-৮ জন আসামী মিলে ভিকটিমদ্বয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং কাউকে কিছু না বলার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।