র্যাব-১২ সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ ও র্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ এর যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার আলোচিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি গ্রেফতার।
চলতি বছরের গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকায় ভিকটিম মোছাঃ ফাতেমা খাতুন তার ফার্মের মালিকের শ^শুর বাড়ীতে ডিম পৌঁছে দেয়ার জন্য অটোযোগে সিরাজগঞ্জ নিউ মার্কেটের নিকট আসলে ভিকটিম অপরিচিত এক লোকের ভ্যানরিজার্ভ করে রওনা করে। একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকায় ভিকটিম সিরাজগঞ্জ থানাধীন বহুলী ইউনিয়নের ডুমুরইছা হাটখোলা বাজার পাওয়ার আগেই দুর্বৃত্তরা ভ্যানটি ধামিয়ে জোরপূর্বক ভ্যানের উপর উঠে। দুর্বৃত্তরা কিছু দূরে গিয়ে ভ্যানটি থামিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ইউক্যালিপটাস গাছের বাগানের ভিতরে নিয়ে যায় এবং একত্রিত হয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে।
দুর্বৃত্তরা ভিকটিমের কাছে থাকা ০১ টি টাচ মোবাইল ফোন এবং তার স্বর্ণের কানের দুল খুলে নিয়ে ভিকটিমকে অপরিচিত সিএনজিতে উঠিয়ে দিলে সিএনজি চালক তাকে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে এনে নামিয়ে দেয়। তখন ভিকটিম সেখান থেকে একটি রিক্সাযোগে তার মালিকের মুরগীর ফার্মে যায় এবং মালিককে ঘটনার কথা বিস্তারিত জানায়। গণধর্ষণের ফলে ভিকটিম গুরুতর আহত হলে গত ২ অক্টোবর ফার্মের মালিক তাকে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম সুস্থ হলে নিজেই বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৫, তারিখ- ০৫ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(৩) তৎসহ ৩৭৯ দন্ডবিধি ১৮৬০।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত ০০.১৫ ঘটিকার সময় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২, সদর কোম্পানি ও র্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ‘‘মাগুড়া জেলার সদর থানাধীন কচুন্দী এলাকায়’’ একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি আব্দুল মমিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও তার সাথে থাকা ০১টি মোবাইল জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি ১। মোঃ আব্দুল মমিন (৩৬)।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।