এশিয়া কাপ-২০২৩

লংকানদের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল পাকিস্তান

এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে শ্রীলংকার মুখোমুখি পাকিস্তান। এ ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হবে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে স্বাগতিক লংকানদের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাবর আজমের দল।
বৃহস্পতিবার কলম্বোতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে (কার্টেল ওভার) টস জিতে আগে ব্যাট করে ৪২ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এতে শ্রীলংকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৫৩ রান।

বৃষ্টির কারণে এদিন নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের টস হতে বিলম্ব হয়। এতে প্রায় তিন ঘন্টা পর খেলা শুরু হয়। এজন্য ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ৪৫ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। তবে ম্যাচের ২৭ ওভারের সময় কলম্বোতে দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি নামে। ফলে আরো ৩ ওভার কাটা হয়। এতে ৪২ ওভারে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

লংকান বধের মিশনে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। এদিন মেন ইন গ্রিনদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ফখর জামান ও আব্দুল্লাহ শফিক। ম্যাচের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলেন এ দুই ব্যাটার।

ম্যাচের প্রথম ওভারের শেষ বলে শর্ট মিড অফে ক্যাচ দিয়েছিলেন শফিক। অল্পের জন্য সে যাত্রাই রক্ষা পান তিনি। তবে নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ফখর জামানকে সাজঘরের পথ দেখান মধুশান। বোল্ড হওয়ার আগে ৪ রান করেন তিনি।

এরপর উইকেটে আসেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। উইকেটে থিতু হয়েও নিজের ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ১৬তম ওভারের শেষ বলে ওয়েল্লালাগের ঘূর্ণিতে কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত স্ট্যাম্পিংয়ে সাজঘরে ফিরেছেন পাক দলপতি।

বাবরের বিদায়ে বাইশ গজে আসেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ম্যাচের ২১তম ওভারের তৃতীয় বলের ১ রান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধ শতক তুলে নেন শফিক। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ২২তম ওভারে বল হাতে তুলে নেন পাথিরানা। এ ওভারের চতুর্থ বলে পুল করতে গিয়ে মধুশানের তালুবন্দী হন শফিক। আউট হওয়ার আগে ৫২ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।

পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ হারিস। এরপরই ধনঞ্জয় ডি সিলভার বলে রিজওয়ানের স্ট্যাম্পিং মিস করেন কুশল মেন্ডিস। পরের ওভারেই হারিসকে নিজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান লংকান পেসার মাথিশা পাথিরানা।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। এরপর মহেশ থিকশানার বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোহাম্মদ নওয়াজ। বোল্ড হওয়ার আগে ১২ রান করেন এ পাক অলরাউন্ডার। এরপরই কলম্বোতে বৃষ্টি নামে।

বৃষ্টি থামলে আবারো মাঠে নামে দু’দল। উইকেটে এসেই দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন রিজওয়ান ও ইফতিখার। তারই ধারাবাহিকতায় ওডিআই ক্যারিয়ারের ১২তম অর্ধ শতক পূর্ণ করেন রিজওয়ান। তাকে সমর্থন দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ইনিংসও লম্বা করেন ইফতিখার। তবে ম্যাচের ৪১তম ওভারের ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইফতিখার (৪৭)।

আরও পড়ুন...