বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) তেজগাঁও, শাহবাগ, রমনা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, লকডাউন না মানায় এখন পর্যন্ত মিরপুর অঞ্চলেই আটক হয়েছেন শতাধিক। মামলা হয়েছে অর্ধশত। এ ছাড়া লকডাউন ভঙ্গ করায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগে এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ৭৩ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। যেখানে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব পুলিশের পাশাপাশি চেকপোস্ট বসিয়ে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের। পড়তে হচ্ছে জেল জরিমানার মুখোমুখি। মানুষ সচেতন না হলে প্রয়োজনে আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজধানীর মোড়ে মোড়ে জনসমাগম ঠেকাতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। পুলিশের পাশাপাশি তৎপর আছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারাই বের হয়েছেন তাদের গুনতে হয়েছে কমপক্ষে ২০০ টাকা করে জরিমানা।
ঢাকায় প্রবেশ কিংবা বের হওযার মুখগুলোতে সবচেয়ে সতর্ক দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী বলছে, বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ নিজ থেকেই বিধিনিষেধ মেনে চলছেন।
বন্ধ দোকানপাটও। অলিগলিতে খোলা থাকলেও চোখে পড়লেই বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে কাঁচাবাজার ঘিরে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা দেখা যায়। সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে রাখতে বাধ্য করতে পুরনোদের পাশাপাশি আরও ১০৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। দায়িত্ব পালনকালে তারা বলছেন, জেল জরিমানা মূল উদ্দেশ্য নয়। করোনা বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেই তারা কাজ করছেন।