লকডাউন আরও বাড়তে পারে

দেশে করোনাভাইরাসের কারণে চলমান ‘লকডাউন’ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউন কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, তবে জনগণ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।’

এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের স্বাস্থ্য ও শাস্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।’ দোষারূপের রাজনীতি বন্ধ করে অন্তত ঈদের পর মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির প্রতি আহবান জানান তথ্যমন্ত্রী।

এর আগে, মঙ্গলবার (১১ মে) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন চলমান ‘লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।

ওই সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। সংক্রমণ এড়াতে এই সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে জানানো হবে।

এর আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারা দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আরও পড়ুন...