লক্ষ্মীপুরে ধর্ষিত ১৭ বছরের শিশু,পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা


আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর: ফুলে যাচ্ছে পেট। অসহ্য ব্যথা। ১৭ বছরের মেয়ের কী হয়েছে, বুঝতে পারছিলেন না মা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের চর আলী হাসানের জলিল মোল্লার বাড়িতে এই ঘটনায় ঘটে।ওই শিশুর দুলা ভাই রাজু বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।শিশুটির মা রায়পুর উপজেলার ২ নং চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তবে মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত রাজু হোসেন। বিচার ছেয়ে ধারে ধারে ঘুরছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

ঘটনা টি এলাকায় জানা জানি হলে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।অভিযুক্ত রাজু একই এলাকার মফিজ মোল্লা বাড়ির মোহন মোল্লার বড় মেয়ে সারমিনের জামাতা।ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে ভিকটিম তার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এদিকে লম্পট রাজু আত্বীয়তার সুবাধে তার নানার বাড়িতে আসা যাওয়া করতে থাকে।

গত(১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার)ধর্ষিতার নানা, নানী তাকে বাড়িতে একা রেখে ফরিদপুর আটরশি দরবারে যায়। এই সুযোগে লম্পট রাজু শালীকে ঘরে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ৫ লক্ষ টাকার কাবিনে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় রাজু। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

গত ২০ জুলাই কিশোরীর শাররীক পরির্বতন দেখে তার মা তাকে স্ব্যাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করালে ডাক্তার জানায় ভিকটিম পাঁচমাসের অন্তসত্তা।ভয় দেখানোর জেরে প্রথমে এ বিষয় মুখই খুলতে চায়নি ১৭ বছরের ওই কিশোরী।বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে রাজুর শশুর মোহন মিয়াকে জানালে তিনি ঘটনা ভিত্তি হীন বলে উড়িয়ে দেয়। তিনি আরো জানায় আমার জামাতা শারীরিক অক্ষমতার কারনে তার সংসারে দীঘ ৭ বছর যাবৎ কোনো সন্তানাদি হয় না।এ বিষয়ে বহু ডাক্তার কবিরাজ মাধ্যমে চিকিৎসার করা হচ্ছে।ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।ন্যায় বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে ধর্ষনের অভিযোগ করে রাজুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবারের মা কুলসুম বেগম।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজু বলেন,দীর্ঘ সাত বছর যাবত আমার স্ত্রীর কোন সন্তানাদি না হওয়ায় দুইজনে চিকিৎসা করাচ্ছি। তারা আমাদের আত্মীয়তার কারণে,আমি মাঝে মধ্যে তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতাম তবে ধর্ষণের বিষয়টি সত্য নয়।

রবিবার লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি আজিজুর রহমান মিয়া পিবিএকে জানায়, উক্ত ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগতভাবে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/আলমগীর হোসেন/এসডি

আরও পড়ুন...