এটা রীতিমত মানুষিক বৈকল্য। শ্রেফ দু একজন মানুষের খামখেয়ালীপনায় ডজন ডজন মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। সবশেষ ঘটনা সদরঘাটের লঞ্চ দূর্ঘটনা।
সরকার নিয়ম করেও এদের থামাতে পারছে না। শুধুমাত্র অস্ত্রবাজী আর সন্ত্রাসীই দূর্বৃত্ত্ব নয়। এসব খামখেয়ালী মানুষগুলো তার চাইতেও ভয়ংকর। যাদের দূর্বৃত্ত্বপনায় এভাবে অঘোড়ে প্রাণ হাড়াচ্ছে নিড়িহ মানুষ। এই দূর্বৃত্ত্বপনা এসব মানুষের রক্তে মিশে গেছে কি ?
মর্নিং বার্ড লঞ্চ দূর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে চালকের অদক্ষতার কারনেই লঞ্চ দুটির মধ্যে সংর্ঘষ ঘটে। আর মর্নিং বার্ড আসার পথে একটি বাল্ক হেডকে ধাক্কা দিয়েছে। বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা গণমাধ্যমে সেই অভিযোগ জানিয়ে স্বজন হাড়ানোর বিচার দাবি করেছেন।
জানা গেছে, তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে খোদ সরকারি প্রসিকিউটর গণমাধ্যমে বলেছেন লঞ্চ মালিকরা যথেষ্ট প্রভাবশালী। এরাতো আর রাষ্ট্রের চাইতে প্রভাবশালী হতে পারে না!
আশার কথা হচ্ছে, সরকারের করিৎকর্মা মন্ত্রীদের মাঝে খালেদ মাহমুদ চৌধুরী একজন। ইতমধ্যে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের অনেক বিষয়ে জনমুখি পদক্ষেপ নিয়েছেন। বুড়িগঙ্গার তীর বেদখলমুক্ত করা অন্যতম। যেখানে একাধিক সাংসদ ও প্রভাবশালী শিল্পপতিও ছাড় পাননি।
আমাদের প্রত্যাশা লঞ্চ দূর্ঘটনায় দোষিরা যত শক্তিশালীই হোক না তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পিবিএ/শতাব্দী আলম