শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। ডিসেম্বরের শুরুতে দেশে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সরকারি কর্তৃপক্ষ। এ সপ্তাহের মাঝামাঝি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুমতি দিয়েছে সিউলের একটি আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমর্থকদের কাছে লেখা এক চিঠিতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথা জানান ইয়োল। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়োলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থকরা। প্রতিবাদ জানাতে তারা রাজধানীর সরকারি বাসভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন নিয়মিত। এ বিষয়টি ইউটিউবে লাইভ দেখে বুধবার রাতে সমর্থকদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন প্রেসিডেন্ট ইয়োল।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘ইউটিউব লাইভে দেখেছি আপনারা কঠোর পরিশ্রম করছেন। আমি দেশকে রক্ষা করার জন্য আপনাদের সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’
ইয়োলের লেখা চিঠির একটি ছবি রয়টার্সের কাছে পৌঁছেছেন তার আইনজীবী ডং হাইওন। তবে তার চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। দলটি বলছে, চিঠির মাধ্যমে ইয়োলের ভুলটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। তিনি যে ‘বিদ্রোহ’ করেছেন তা সম্পূর্ণ করার ইঙ্গিতই দিয়েছেন ওই চিঠিতে।
দলটির মুখপাত্র জো সিউং লি এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার (ইয়োলের) জন্য বোধহয় বিদ্রোহ করা যথেষ্ট ছিল না, এজন্যই এখন সমর্থকদের সহিংসতার উসকানি দিচ্ছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ইয়োলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুমোদন করেছে রাজধানী সিউলের একটি আদালত। বিরোধী পক্ষের দাবি দেশে সামরিক আইন জারির মাস্টারমাইন্ড ইয়োল নিজেই।
এ কারণেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যদি তিনি গ্রেপ্তার হন তাহলে তিনিই হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি পদে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হতে পারেন।