লাকসামে সালিশি বৈঠকে ডেকে অটোরিক্সা চালককে হত্যা !


পিবিএ, লাকসাম : কুমিল্লার লাকসামে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার একজন চালককে সালিশি বৈঠকে ডেকে এনে মারধরের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত সানাউল্লাহ (৫৫) উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের চরবাড়িয়া গ্রামের হালিয়াপাড়া এলাকার শফিউল্লাহর ছেলে।

শুক্রবার (৩ জুলাই) রাতে চরবাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের দোকানে ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহত সানাউল্লাহর ছেলে শরিফ আহম্মেদ ফয়সালের অভিযোগ, স্থানীয় মেম্বার আবুল হোসেন জোরপূর্বক সালিশি বৈঠকে ডেকে আনার পর, জামশেদ আলম ও ছুটিতে আসা সুজন নামের এক পুলিশ সদস্য মিলে তার বাবাকে মারধরের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।

রাতেই হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন। তিনি জানান, ওই অটো চালককে মারধরের পর ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহতের ছেলে শরীফ আহমেদ ফয়সাল বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তবে আসামীরা পলাতক থাকায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় ওসি নিজাম উদ্দীন।
শনিবার (৪ জুলাই) সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন সানাউল্লাহ। এ সময় মসজিদের ভেতরে বসে হাসাহাসি ও দুষ্টুমি না করার জন্য জামশেদকে (হত্যায় অভিযুক্ত) ডাক দেন তিনি। নামাজ শেষে এ বিষয় নিয়ে জামশেদ ও সানাউল্লাহর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এ নিয়ে শুক্রবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় জামশেদ স্থানীয় মেম্বার আবুল হোসেন ও পুলিশ সদস্য সুজনকে সঙ্গে নিয়ে নিহত সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে সালিশি বৈঠক ডাকেন।

ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের দোকানে বসা বৈঠকে উত্তেজিত হয়ে ঘাতক জামশেদ, মেম্বার আবুল ও পুলিশ সদস্য সুমন সানাউল্লাহকে বেধরক মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয় মেম্বার ও জনতার সামনে, জামশেদ ও সুজন মিলে সানাউল্লাহর শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে।

পরে মুমূর্ষু অবস্থায় স্হানীয়রা সানাউল্লাহকে উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত. বলে ঘোষণা করেন।

পিবিএ/চন্দন সাহা/এমএ

আরও পড়ুন...