পিবিএ,লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী ওই উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের সীমান্তগ্রাম কলসিমুখ আঞ্চলিক সড়কের সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কে ৩ কিলোমিটারে অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ বেহাল দশা সড়কটি দিয়ে উপজেলা সদরে চলাচল করতে গিয়ে ওই এলাকার ৩০ টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিডি) পাটগ্রাম উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের দিকে স্থানীয় এলজিইডির অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে পাটগ্রাম- ললিতারহাট সড়কটির সাড়ে ৩ কিলোমিটার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১ সালের দিকে ললিতারহাট থেকে সীমান্ত গ্রাম কলসিরমুখ পযর্ন্ত সড়কটির তিন কিলোমিটার কাপেটিং করা হয়। এরপর দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় ওই সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃস্টি হয়েছে।
এলাকাবাসি জানান, বৃষ্টি ও প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্ডসহ সড়কের দু’পাশের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি সংস্কার করা না হলে ললিতারহাট, ডাঙাপাড়া, কবরস্থান, কুচলিবাড়ির, কলসিরমুখ বিজিবি ক্যাম্প, কবরস্থান, গিরিয়ারপাড়, দৌলতপুরগ্রাম, মেম্বরের বাড়ি, কুচলিবাড়ি, দোইয়ালেরটারী,টেইলেনটারী, কলসিরমুখ, ভেদলোটারী, ডাঙাপাড়া, নদীরপাড়.দরগারপাড়সহ অর্ন্তত ৩০ টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিলিষ্টদের নিকট আবেদন করেও কিছুই হয়নি।
কুচলিবাড়ি ইউনিয়নর চেয়ারম্যান হামিদুল হক বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা ইতিমধ্যে উপজেলা সমন্বয় বৈঠকেও বলা হয়েছে। তাছাড়াও স্থানীয় এলজিইডির প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পাটগ্রাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিডি)’র প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোঃ শামসুজ্জামান জানান, গত বছরে ওই সড়কের প্রায় সাড়ে তিনকিলোমিটার সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। তবে এর বাকী অংশের সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। নতুন করে প্রকল্পের আওতায় অনুমতি আসলেই। সড়কটি মেরামত করার কাজ শুরু করা হবে।
পিবিএ/ইএইচকে