লা লিগায় শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নতুন কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে দারুণ উজ্জীবিত ছিল বার্সেলোনা। সাত ম্যাচে তাদের জয় ছিল শতভাগ। এবার অষ্টম ম্যাচে এসে হোঁচট খেলো ওসাসুনার কাছে। অধিকাংশ সময় বল নিজেদের আয়ত্তে রেখেও প্রথমার্ধে গোল না পাওয়ার হতাশায় পুড়তে হয় বার্সাকে। পরে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল শোধ করলেও তারা মাঠ ছাড়ে ৪-২ গোলের বড় হার নিয়ে।
গতকাল (শনিবার) দিবাগত রাতে ওসাসুনার মাঠ এল সদর স্টেডিয়ামে লিগে নিজেদের অষ্টম ম্যাচ খেলতে নামে বার্সেলোনা। এদিন তাদের একাদশ ছিল ১৯৯৫ সালের অক্টোবরের পর সর্বকনিষ্ঠ (গড় বয়স ২৩ বছর ২৯২ দিন)। আক্রমণে ধারহীন কাতালানদের রক্ষণেই ওসানসুনা বারবার ভীতি ছড়ায়। দ্বিগুণ লিডও নেয় ম্যাচের প্রথমার্ধে।
শুরুটা হয় অষ্টাদশ মিনিটে, আন্তে বুদিমির ছয় গজ দূরত্ব থেকে হেড দিয়ে ওসাসুনাকে প্রথম লিড এনে দেন। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগে মিনিট দশেক পরই ফের বল বার্সার জালে। পাবলো ইবানেসের বাড়ানো বল ধরে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন ব্রায়ান জারাগোজা। স্প্যানিশ উইঙ্গারের গোলে দ্বিগুণ লিড নিয়ে ওসাসুনা বিরতিতে যাওয়ার ক্ষণ গুনছিল। এরপর ৪৪ত মিনিটে প্রথম সুযোগটা পায় সফরকারী বার্সা। ৪৪ মিনিটে নেওয়া গোলের লক্ষ্যে তাদের প্রথম শট ও যোগ করা সময়ে জুল কুন্দের হেড ব্যর্থ হয় গোলরক্ষক দেয়ালে।
পিছিয়ে পড়া লা লিগার শীর্ষ পয়েন্ট ধারীরা বিরতির পর চেনা ছন্দে খেলতে শুরু করে। ৫৩তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে শট নেন রবার্ট লেভান্ডফস্কি, তবে তার সেই শটও ফিরিয়ে দেন ওসাসুনা গোলরক্ষক সার্জিও হেরেরা। পরক্ষণে তিনি ভুল করে বসেন, নিজেদের এক খেলোয়াড়ের উদ্দেশ্যে বল দিতে গিয়ে তুলে দেন বার্সার জেরার্ড মার্টিনের কাছে। তার কাছ থেকে বল পেয়ে পাউ ভিক্টর শট নিলে, হেরেরা স্পর্শ পেয়েও বল জালে জড়িয়ে যায়। ব্যবধান কমানো বার্সেলোনার জার্সিতে এটি তার প্রথম গোল।
এরপর বেশ কয়েকটি বদলি নামান সফরকারী কোচ ফ্লিকে। এরই মাঝে আবার বার্সেলোনার তরুণ ডিফেন্ডার সার্জি দোমিঙ্গেস ফাউল করে ৭২তম মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ করে দেন ওসাসুনাকে। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে বুদিমির নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন। ৮৫তম মিনিটে আলগা বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ বার্সার জালে হালি পূর্ণ করেন ব্রেতোনেস।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমান লামিনে ইয়ামাল। বক্সের বাইরে থেকে তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গারের বাঁ পায়ের শট ওপরের কোণা দিয়ে জালে জড়ায়। যা চলতি মৌসুমের সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তরুণ ইয়ামালে পঞ্চম গোল, সমান ৫টি অ্যাসিস্টও করেছেন। যোগ করা সময়ে আরও দুটি সুযোগ তৈরি করলেও, বার্সেলোনা আর গোলের দেখা পায়নি। ফলে ৪-২ ব্যবধানে চলতি লা লিগায় প্রথমবার হারের স্বাদ পায় তারা।
এই হারে অবশ্য শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে বার্সেলোনা। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১। এক ম্যাচ কম খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান রিয়াল মাদ্রিদের। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ওসাসুনা ছয়ে অবস্থান করছে।