পিবিএ ডেস্ক: রিচার্জেবল ব্যাটারি হিসেবে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরি করে রসায়নে এ বছর যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী।
বুধবার সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় রসায়নে এ তিন বিজ্ঞানীর নোবেল জয়ের ঘোষণা দিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি।
রসায়নের নোবেল জয়ী এ তিন বিজ্ঞানী হলেন, জার্মান বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন বি গুডনাফ, যুক্তরাজ্যের বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ এম স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম ও জাপানের মিজো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ আকিরা ইয়োশিনো। পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলছে, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এ তিন বিজ্ঞানী। ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম প্রথম কার্যকরী লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরি করেন। ব্যাটারি থেকে ইলেকট্রন ত্যাগের জন্য প্রচুর লিথিয়াম ব্যবহার করা হয়।
জন বি গুডনাফ লিথিয়াম ব্যাটারির সম্ভাবনাকে দ্বিগুণ করেন; তিনি আরও বেশি শক্তিশালী এবং কার্যকর ব্যাটারির জন্য সঠিক অবস্থা তৈরি করেন। আকিরা ইয়োশিনো সেই ব্যাটারি থেকে সম্পূর্ণ লিথিয়াম আয়নের ওপর নির্ভরতার পরিবর্তে লিথিয়াম পুরোপুরি বিনাশ করতে সক্ষম হন; যা লিথিয়াম থেকে অধিক নিরাপদ করে তোলে এই ব্যাটারিকে।
১৯০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রসায়নে ১১০ বার নোবেল পুরস্কার দিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। একমাত্র রসায়নবিদ হিসেবে রসায়নে দুবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফ্রেডরিক স্যানগার। ইনসুলিনের গঠন নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৫৮ সালে প্রথম এবং ডিএনএ সিকোয়েন্সিং নিয়ে কাজ করে ১৯৮০ সালে দ্বিতীয়বার রসায়নে নোবেল পান তিনি।
১৯১১ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ম্যারি কুরি; এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র নারী, যিনি রসায়নে নোবেল পাওয়ার আগে পদার্থের নোবেল পেয়েছিলেন।
গত বছর নতুন ধরনের রাসায়নিকের জন্য এনজাইমের উৎপাদন ও পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ার গবেষণা করে
রসায়নের নোবেল জয় করেন মার্কিন নারী রসায়নবিদ ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড ও জর্জ পি স্মিথ এবং ব্রিটিশ রসায়নবিদ স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার।
পিবিএ/ইকে