পিবিএ ডেস্ক: প্রিয় ঠোঁটজোড়া রাঙাতে ভালোবাসেন প্রায় সব নারীই। প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার সময় একটুখানি সাজগোজ তো করাই হয়। ক্লাস, অফিস কিংবা পার্টিতে অন্তত এক পরত লিপস্টিক ঠোঁটে না লাগাতে পারলে কেমন অসম্পূর্ণ লাগে। এমনটা কম-বেশি সব নারীর বেলায়ই ঘটে। তবে সতর্ক হওয়ার সময় এখনই।
যেকোনো প্রসাধন সামগ্রীতেই কিছু না কিছু রায়াসনিক থাকে। আমাদের খাওয়ার পানি থেকে আরম্ভ করে শিশুর খেলনা পর্যন্ত সব কিছুতেই সিসা আছে, ইচ্ছে করলেও আপনি তার চেয়ে খুব দূরে পালাতে পারবেন না। কিন্তু লিপস্টিকের মাধ্যমে যে এক বা একাধিক ধাতুর সংস্পর্শে আসছেন রোজ, সেটা তো ইচ্ছে করলেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বিভিন্ন গবেষণায় লিপস্টিক ও লিপগ্লসে সিসা ছাড়াও ক্যাডমিয়াম, কোবাল্ট, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, ক্রোমিয়াম, কপার, নিকেলের মতো ধাতুর অস্তিত্ত্ব পাওয়া গিয়েছে। যদিও তার মাত্রা খুব একটা বেশি নয়, তবুও দিনের পর দিন তা ব্যবহারের বিপক্ষেই সায় দেন বেশিরভাগ পরিবেশবিদ ও ত্বক বিশেষজ্ঞ।
লিপস্টিক লাগানোর আগে অবশ্যই খুব ভালো করে ময়েশ্চরাইজারের পরত লাগান ঠোঁটে, তা ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করবে। কোনো র্যাশ, চুলকানি, ঠোঁটের রং বদলানোর মতো সমস্যা দেখা দিলে তখনই লিপস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে দিন। গর্ভবতী নারীর সিসার সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকারই পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ তার ফলে গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
খেয়াল রাখুন–
* দিনে দুইবারের বেশি লিপস্টিক টাচ-আপ করার দরকার নেই।
* ঠোঁট চাটার অভ্যেস থাকলে এখনই সাবধান হোন, চাটলে লিপস্টিক শরীরে প্রবেশ করবে বেশি পরিমাণে।
* প্রত্যেকদিন গাঢ়, ম্যাট শেডের লিপস্টিক পরার দরকার নেই।
* লিপস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহার করুন টিন্টেড লিপ বাম। সুগন্ধিবিহীন লিপবাম ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
* সপ্তাহে অন্তত বার দুয়েক লিপস্টিক না লাগানোর চেষ্টা করুন এবং বাচ্চা মেয়েদের হাতে কখনোই লিপস্টিক তুলে দেবেন না। শিশুদের ক্ষেত্রে এই জাতীয় ধাতু আরও বেশি বিপজ্জনক।
পিবিএ/আরআই
