লিপি হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

bramonbaria-pba

পিবিএ,ব্রাক্ষণবাড়িয়া: ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে স্পীটবোর্ড যোগে লাশ শ্বশুরালয়ে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী লিপির মৃত্যু হলেও লাশ দুইদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পরে থাকার পর রবিবারে নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হযেছে লাশের ময়নাতদন্ত। দেরিতে ময়না তদন্তের কারণ সম্পর্কে নিহতের বড় ভাই চন্দন কুমার দেব জানায়, জামাই রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ময়না তদন্তের রির্পোট তাদের পক্ষে নিতে চেয়েছিল। কিন্ত তা পারেনি, মিডিয়া কর্মীদের চাপের মুখে পড়ে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইদা খানমের উপস্থিতিতে ডা: নুর-ই শামে নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে নিহত লিপি রানী দেবের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

১৯ফেব্রুয়ারী রোজ মঙ্গলবার বেলা ২ ঘটিকার সময় নাসিরনগর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে হাজারো নারী পুরুষ মিলে লিপি হত্যার সুবিচার ও ঘাতক স্বামীর ফাঁসির দাবীতে মানব বন্ধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

মানববন্ধনে লিপির বড়ভাই চন্দন কুমার দেব অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাই চপল দেব বাদী হয়ে লিপির স্বামী মানিক কুমার দেবসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার এজাহার নিয়ে থানায় গেলে এজাহার গ্রহণ করেনি অষ্টগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম সুমন। এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তিনি একাধিকবার ফোন কেটে দিয়ে অবশেষে বন্ধ করে দেয়।

এ বিষয়ে মানিক দেবের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্ত্রী কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল। যা আমার শ্বশুরবাড়ীর লোকজনও জানতেন। আমি একজন জনপ্রতিনিধি ও নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। আবারও নির্বাচনের জন্য আমি রাতদিন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মাঝে আমার স্ত্রী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক তাকে অষ্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করে চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্বশুর বাড়ীতে পাঠাই।

পরবর্তীতে অষ্টগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) এসএম সুমনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা মামলা নিতে চাইনি কথাটি মিথ্যা। আমরা বলেছি যেহেতু লিপি বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে,সেহেতু হত্যা মামলা না দিয়ে এজাহার পরিবর্তন করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দেওয়ার জন্য।

পিবিএ/এএইচ/হক

আরও পড়ুন...