লুঙ্গি পরাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

নাজমুল হুসাইন,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লুঙ্গি পরা নিয়ে সিনিয়র জুনিয়রের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট উপাচার্য স্যারকে প্রেরণ করেছি। তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিতে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনকে আহবায়ক করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, তদন্ত কমিটির বিষয়ে আমি চিঠি হাতে পেয়েছি। তিন সদস্যের কমিটির বাকী দুজন হলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম। আমরা দ্রুতই কাজ শুরু করবো।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের হুজ্জাতুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী লুঙ্গি পরে ক্যাম্পাসে আসায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রিংকু তাকে শাসালে ঘটনার সূত্রপাত। পরে এঘটনার প্রেক্ষিতে ৩১ আগস্ট জিয়া হলের সামনে, ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ফেরার পথে অনুষদ ভবনে ও জিয়া হলে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এদিকে অভিযোগকারী মার্কেটিং বিভাগের তাসওয়ার খন্দকার জানান, ভুক্তভোগী জুমার নামাজ শেষ করে রুমে ফিরছিলেন। এমন সময় বিনা করাণে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের জহুরুল ইসলাম রিংকু, হামজা ও জামিল, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের আশিক, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আশিক কোরাইশি, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জিহাদ ও মিনহাজ সহ প্রায় ৪০-৫০ জন মিলে তাকে মারধর করে। এতে তার একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে অপর অভিযোগকারী ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম রিংকু জানান, গত ৩১ আগস্ট দিবাগত রাতে জিয়াউর রহমান হলের সামনে ১২-১৫ জন একা পেয়ে লাঠি-স্টাম্প দিয়ে মারধর করে পালিয়ে যায়। এসময় ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হুজ্জাতুল্লাহ ভূইয়া ও তার বন্ধু আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল আমীনসহ বেশ কয়েকজন ছিলেন বলে অভিযোগ করেন রিংকু।

আরও পড়ুন...