পিবিএ,নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর নিয়ে আসা একজন বৃদ্ধ রোগিকে মারধর করেছেন ওই কমপ্লেক্সে কর্মরত এমএলএসএস (অফিস সহায়ক) আজিজুর রহমান।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে। ভুক্তভোগীরা ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের বৃদ্ধ চা বিক্রেতা রাজ্জাক শিকদার ওরফে রাজা মিয়া (৫৬) গত এক সপ্তাহ যাবত জ্বরে ভুগছিল। তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
এ সময় জরুরি বিভাগ থেকে তাকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। দুপুরে পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে তিনি জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. ফাতেমা মেহেজাবিন কাছে গেলে তিনি কয়েকটি ঔষুধ লিখে দিয়ে বাইরে থেকে কিনে নিতে বলেন। এ সময় হতদরিদ্র অসুস্থ্য রোগি রাজ্জাক শিকদার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফ্রি ঔষুধ দেওয়ার দাবি জানান।
এ সময় জরুরি বিভাগে কর্মরত এমএলএসএস (অফিস সহায়ক) আজিজুর রহমানের সাথে রোগি রাজ্জাক শিকদারের বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আজিজুর রহমান রোগি রাজ্জাককে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় মেরে আহত করে।
শুধু তাই নয়, আজিজুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত স্টিলের থালা দিয়ে রাজ্জাককে মারপিট করতে কুন্ঠা করে নাই। এ সময় রোগির স্বজনরা আজিজুরকে থামানোর চেষ্টা করলে আজিজুর তাদের নিকট থেকে রোগির ব্যবস্থাপত্র ছিনিয়ে নেয়।
মারধোরের এক পর্যায়ে বৃদ্ধ রোগি রাজ্জাক গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. ফাতেমা মেহেজাবিন ওই রোগিকে দ্রুত ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে বৃদ্ধ রাজ্জাক শিকদারের স্ত্রী জলি খাতুন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে মারপিট দুঃখজনক।
আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। অভিযুক্ত এমএলএসএস আজিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে
জানতে চাইলে তিনি জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. ফাতেমা মেহেজাবিনের সাথে যোগাযোগ করার ‘পরামর্শ’ দেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে।#
পিবিএ/শরিফুল ইসলাম/ ইকে