মঙ্গলবার, রাত সাড়ে ৯টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দাঁড়িয়ে নানা অঙ্গভঙ্গিতে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছে আনুমানিক ৭/৮ বছরের একটি শিশু। ছবি তুলছে শিশুটির বাবা। শিশুটির মা পাশে দাঁড়ানো আরও কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে ছবি তুললেন।
অদূরে আরও কয়েকজন ঢাবির শতবর্ষ লেখা বাতির ঝালরের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। রাত সাড়ে ৯টা বাজলেই কলাভবনের চৌহদ্দিজুড়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেককেই দেখা যায়। বর্ণিল আলোকসজ্জার কারণে কলাবাগানে আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে চারদিক আলোকিত হয়ে যায়।
আগামী ৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেন খুশির বন্যা বইছে। বিভিন্ন আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিতকরণের কাজ চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে প্যান্ডেল সাজানো হচ্ছে। ৪ ডিসেম্বর নবীন ও প্রবীণের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠবে ঐহিত্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
সরেজমিন মঙ্গলবার রাতে ঢাবি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় থেকে শুরু করে ভিসি ভবন ও চত্বর, কলাভবন, বিভিন্ন আবাসিক হল, টিএসসিসহ বিভিন্ন দিকের রাস্তাঘাট রঙিন আলোতে ঝলমল করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ লেখা সুবিশাল বিলবোর্ড বসানো হয়েছে। এসব বিলবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ছবি তুলছেন।
সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন ক্যাম্পাসে। সন্তানদের কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন ও অতীতের নানা স্মৃতিকথা শোনাচ্ছেন। বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনে ছাত্রনেতাদের বড় ধরনের সমাগম চোখে পড়ে।