শপিংমল খুললে ব্যবসায়ীরা দেউলিয়া হবে না

মোহাম্মদ আলমগীর আলম: ফেসবুকে অনেকেই যমুনা ফিউচার পার্ক কেন খুলছে তার সমালোচনা করছে। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, লক্ষ লক্ষ খুচরা ব্যবসায়ী, দোকানদারদের বছরের একমাত্র ব্যবসায়িক মৌসুমের অবশিষ্ট অল্প কয়েকটি দিনে ব্যবসা করার মাধ্যমে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে ও দেশের কোটি কোটি সাধারণ ঘরবন্দী মানুষদের সীমিত পরিসরে ঈদের কেনাকাটা করার সুযোগ করে দেওয়ার স্বার্থে বাংলাদেশের সকল দোকানপাট ও শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, এই সিদ্ধান্ত আমাদের একার নয়। সবাই খুললে আমাদেরও খোলা রাখা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। বাংলাদেশের ৯০% দোকানপাট খুবই সংকীর্ণ এবং লক্ষ লক্ষ ক্রেতারা সেখানে একজনের গায়ের উপর আরেকজন গিয়ে ঈদের কেনাকাটা করে, যা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে আমরা সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মানানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

যমুনা ফিউচার পার্ক বাংলাদেশের যে কোন শপিং মলের চেয়ে অনেক গুণ বেশি খোলামেলা এবং সর্ববৃহৎ। সরকার গার্মেন্টস খুলে রেখেছে অনেক আগেই যেখানে লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস কর্মীরা তিন শিফটে ২৪ ঘন্টাও গা ঘেঁষে কাজ করে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ শপিং মল সীমিত পরিসরে সকাল দশটা থেকে বিকাল ৪টা খোলা থাকবে তাও আবার ১০তারিখ থেকে ঈদের কেনাকাটার মৌসুম অর্ধেক পার হয়ে যাওয়ার পর। এই শপিং মলেই যমুনা গ্রুপের প্রধান কার্যালয় যেখানে যমুনা গ্রুপের মালিকপক্ষ অফিস করেন। তাই অন্তত আমরা নিজেরা বাঁচতে কোন রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেব না।

দেশের সব দোকানপাট শপিংমল খুললে আমাদের শপিংমল না খুলে পারব না। এটা ফেসবুকের পোস্ট নয় ইচ্ছে হলে দিলাম ইচ্ছে না হলে বাদ দিলাম। বাংলাদেশের সকল শপিং মলের চেয়ে যে কোন পরিস্থিতিতেই যমুনা ফিউচার পার্ক অনেক বেশি নিরাপদ প্রতিটি দোকানের ভেতরে ও বাইরে অনেক অনেক বেশি খোলামেলা জায়গা থাকার কারণে। তাছাড়া চিপা ঘিঞ্জি মার্কেটেও যে সব ব্র‍্যান্ডের দোকান আছে সেগুলোও যমুনা ফিউচার পার্কে অনেক বৃহত্তর পরিসরেই আছে। দাম সব জায়গায় একই, কিন্তু যমুনা ফিউচার পার্কে শোরুম অনেক বড় হওয়ায় হাজারো পণ্যের মধ্য থেকে বেছে নেওয়ার অপশন অন্যান্য সকল মার্কেটের চেয়ে অনেক বেশি। তাছাড়া এই ভরা মৌসুমেও যমুনা ফিউচার পার্কের কিছু কিছু দোকানে আকর্ষণীয় অফার/ডিসকাউন্টও থাকবে।

তাই করোনা পরিস্থিতিতে যেকোন ব্র‍্যান্ডের পণ্য কেনার জন্য যমুনা ফিউচার পার্ক বা এই ধরণের অন্য শপিং মলগুলো অন্য সকল ঘিঞ্জি, সংকীর্ণ, অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর দোকানপাট বা মার্কেটগুলোর চেয়ে হাজারোগুণ স্বস্থিদায়ক ও নিরাপদ। তাছাড়া ৫০০০ গাড়ির পার্কিং, কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক মসজিদ ও নামাজের জায়গা, বয়ষ্ক ও ক্লান্ত রোজাদারদের জন্য একটু পর পর বসার/বিশ্রামের চেয়ার, অনেকগুলো ব্যাংক ও এটিএম বুথ, হাইপার মার্কেট হোলসেল ক্লাবের এক ছাদের নিচে জীবনযাপনের সকল আয়োজন, ৩৪টি লিফট ও এস্কেলেটরসহ আরও শত শত অন্যান্য আয়োজন ও সুযোগ সুবিধার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কই হতে পারে আপনাদের নিরাপদ ঈদ শপিংয়ের সবচেয়ে স্বস্তিকর ও নির্ভরতার জায়গা।

লেখক: ডক্টর মোহাম্মদ আলমগীর আলম, পরিচালক, যমুনা গ্রুপ

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...