পবিত্র শবে বরাত আজ। ইসলামের ভাষ্যমতে, সর্বাধিক ফজিলতপূর্ণ রজনীগুলোর মধ্যে একটি হলো শবে বরাত। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ রাতের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনাসহ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালিত হয়েছে। মোনাজাতে দেশবাসী ও মুসলিম জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
সোমবার মাগরিবের নামাজের পর থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে বরাত এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়াজ মাহফিল শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান বাদ এশা দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান ওয়াজ মাহফিলে বলেন, পবিত্র শবে বরাতে ক্ষমাপ্রার্থনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করা যায়। পাপ-পঙ্কিলতায় জর্জরিত কোনো ব্যক্তির জন্য খাঁটি তওবা করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় এ মহিমান্বিত রজনী।
তিনি বলেন, নিজের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহ’র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। যে যার সাধ্যমতো নফল ইবাদত করবেন। মৃত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করবেন। তবে অনেকেই হালুয়া, রুটি, আতশবাজিতে মেতে উঠেন এসব ঠিক নয়। এমন চর্চা থেকে বিরত থাকা উচিত।
আলোচনা ও দোয়া মোনাজাত শেষে জিকির শুরু হয়। দোয়া ও মোনাজাতে মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকার আগত মুসল্লিরা মুসল্লিরা যার যার গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করেন। তবে যারা রাত্রিকালীন ইবাদত করবে তাদের জন্য জাতীয় মসজিদ উন্মুক্ত থাকবে বলে জানা যায়।
মুসলমানরা হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করছেন।