পিবিএ,বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন পার্শ্ববর্তী নিরাপদ স্থানে।
০৩ মে শুক্রবার সকাল থেকে বলেশ্বর নদীর পানি বাড়তে থাকে। স্রোতের চাপে উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ ফোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে বগী, সাতঘর এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে সন্তান-সন্ততি ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ারও প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
জোয়ারের পানিতে বগী, দক্ষিণ সাউথখালী ও চালিতাবুনিয়া এই তিনটি গ্রামের চার সহস্রাধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। বগীবন্দর থেকে গাবতলা আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রিয়াদুল হোসেন পঞ্চায়েত বলেন, বেরিবাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। সকালে জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। বেশকিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এর আগেও দাবি জানিয়েছিলাম মজবুত করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার। কিন্তু তা করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতে আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি।
তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর শুনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। প্রকল্পের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চেষ্টা করছি দ্রুত মেরামত করার।
পিবিএ/এএইচ