পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহন বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর সেই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেসে ছিলেন সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। ওই ঘটনার প্রায় সাড়ে ৮ মাস পর সেই হাসির ব্যাখ্যা দিয়ে শাহজাহান খান বলেছেন, ঐ হাসির জন্য সাংবাদিকরা দায়ী, তারাই তাকে হাসতে উস্কানি দিয়েছিল।
সোমবার সিরডাপ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত ‘নিরাপদ সড়ক ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে শাজাহান খান এমন দাবি করেন। তিনি বলেন, আজ আমাকে হাসির ব্যাখ্যা দিতেই হবে।
তিনি বলেন, ‘‘আমি তো এমনিতে বেশি হাসি, প্রবলেম হলো এইটা। হাসা যদি দোষ হয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত। কিন্তু কি প্রেক্ষাপটে আমি হাসছি? সেটাও সাংবাদিকদের প্রশ্নের কারণে। দুর্ঘটনার কথা তখন আমি জানিও না। ৬৮ বছর পর আমরা মংলা বন্দরে ক্রেন দিচ্ছি, এই সংবাদে আমরা আনন্দিত। সেখানে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন: সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে আপনি কি বলবেন? আপনাদের অনুরোধ করবো পুরো ফুটেজটি আবারও দেখার জন্য। আমি উত্তরে বললাম দুর্ঘটনার জন্য যদি কোনো ড্রাইভার দায়ি হয় আমরা তার কোনো প্রতিবাদ করবো না।
তখন আরেকজন সাংবাদিক বললো, আপনার আস্কারা পেয়ে ড্রাইভাররা এমন (বেপরোয়া) হয়েছে! তখন স্বাভাবিকভাবে একটু হাসি আসে। আর আমি একটু হাসিও। আসলে আমার হাসার জন্য উস্কানির দিয়েছে এই সাংবাদিক বন্ধুরা।’’
গতবছর ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষির জেরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপরই নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা,সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ( জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েতুল্লাহ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রমুখ।
পিবিএ/এএইচ