শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ও জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান

বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও মানবাধিকার দ্বারা পরিচালিত হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়ার পর সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “কয়েক শ’ লোককে হত্যা ও কয়েক হাজার মানুষকে আহত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

‘পরিবর্তনটা অবশ্যই স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলকভাবে পরিচালিত হতে হবে এবং সকল বাংলাদেশীদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের স্বার্থে তা যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্মুক্ত হয়। আর কোনো সহিংসতা বা প্রতিহিংসা থাকা উচিত নয়।’

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আরো বলেন, যত দ্রুত সম্ভব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল জরুরি ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক আইনের পরিধির মধ্যে কঠোরভাবে সীমিত রাখতে হবে।

নির্বিচারে আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়া এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী সকলকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়ে তিনি জোর দিয়েছেন।

‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এবং জনগণের আস্থা নিশ্চিত করার জন্য, স্বাধীনভাবে একটি তদন্ত পরিচালিত হওয়া উচিত এবং আমার কার্যালয় এটিকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত,’ বলছিলেন তুর্ক।

‘ন্যায়বিচার ও সংস্কারের দাবিগুলো অবশ্যই মানতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা ক্রান্তিকালীন কর্তৃপক্ষ এবং সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একটি রোড ম্যাপ হিসেবে কাজ করতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন...