বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীরা প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।
শনিবার (২৯ মে) সকালে গণভবন থেকে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, দক্ষতা ও মানবিকতার জন্য জাতিসংঘে সবসময় বাংলাদেশের চাহিদা বাড়ছে।
১৯৮৮ সাল থেকে বর্তমান। গত তিন দশকে দেশের নানান সাফল্যগাঁথার মধ্যে সম্মানের অন্যতম অধ্যায় গড়ার কারিগর শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অকুতোভয় যোদ্ধারা বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৯ মে) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’। এ বছরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই অর্জিত ফসল।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ওই সব দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতম বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মিশন ও বহুজাতিক বাহিনীতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। একই সঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সকল প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
শান্তিরক্ষী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিশেষ টক-শো প্রচারিত হয়েছে। এছাড়া শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে।