নব্বইয়ের দাপুটে নায়িকা শাবনূর এক দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন। তবে দীর্ঘদিন নতুন চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন না। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। এসেই পারিবারিক বিভিন্ন কাজকর্মের পাশাপাশি নতুন সিনেমা নিয়েও আলোচনা করছেন। নতুন এই ছবিতে শাবনূর-মাহফুজ আহমেদকে একসঙ্গে দেখা যাবে।
মাহফুজ আহমেদকে সর্বশেষ ‘প্রহেলিকা’ চলচ্চিত্রে দেখা যায়। এই ছবির মাধ্যমে তাঁকে দীর্ঘ আট বছর পর বড় পর্দায় পাওয়া গেছে। ছবির পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। ‘প্রহেলিকা’ ছবিটি শাবনূর অস্ট্রেলিয়ার প্রেক্ষাগৃহে বসে উপভোগ করেন। এদিন সঙ্গে ছিলেন মাহফুজ আহমেদও। সেদিনই আভাস পাওয়া যায়, শাবনূর-মাহফুজকে একসঙ্গে নতুন ছবিতে দেখা যেতে পারে। অবশেষে সেটি প্রায় চূড়ান্ত। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
ছবিতে বাম থেকে চয়নিকা চৌধুরী, শাবনূর ও মাহফুজ। শাবনূর অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘পাগল মানুষ’। এরপর বেশ কয়েকবার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খবরে এলেও শাবনূর কোনোটিকে চূড়ান্ত বলেননি। একাধিক পরিচালক-প্রযোজক শাবনূরকে নিয়ে ছবি নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছেন। কোনোটিই বাস্তবে রূপ পায়নি এত দিন। জন্মদিনের সকালে রোববার শাবনূরের সঙ্গে কথা বলে এটা নিশ্চিত হয়েছে, তাঁর অভিনীত নতুন ছবিটি হতে যাচ্ছে ‘মাতাল হাওয়া’। চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় এই ছবিতে শাবনূর ও মাহফুজকে একসঙ্গে দেখা যাবে।
শাবনূর দেশে ফেরার পর একাধিকবার মাহফুজ আহমেদের বনানী অফিসে বসে গল্প নিয়ে আলাপ করেছেন। পুরো চিত্রনাট্য পড়েছেন চারবার। চরিত্র ও গল্পটা দারুণ পছন্দ হয়েছে বলে জানান শাবনূর। বলেন, ‘অভিনয়ের প্রস্তাব তো হরহামেশাই পাই। কিন্তু সব গল্প কিংবা চরিত্রকে তো হ্যাঁ বলা যায় না। অনেক দিন অভিনয় করিনি এসব ভেবে। গল্প-চরিত্র পছন্দ হলে অন্য বিষয়গুলো মিলে না। আবার পরিচালক-প্রযোজক ঠিকঠাক হলে গল্পে ভরসা পাই না। এবার সবকিছু সোনায় সোহাগা হয়েছে।
শাবনূর বলেন, ‘“মাতাল হাওয়া” ছবির গল্পটা ভীষণ ভালো লেগেছে। মনে মনে এমন একটি গল্প ও চরিত্রের খোঁজ করছিলাম। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী যেভাবে গল্পটা ব্রিফ করেছেন, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ ছাড়া চিত্রনাট্য এতবার পড়ে আশ্বস্ত হয়েছি। “প্রহেলিকা” ছবিটি দেখেও খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে গানের কথা আর কীই–বা বলব। আমার বিশ্বাস, এই ছবিটাও দারুণ কিছু একটা হবে।
সবকিছু যখন চূড়ান্ত, তখন প্রশ্ন থাকে কবে শুটিং শুরু হচ্ছে? এ বিষয়ে শাবনূরের সাফ জবাব। ‘তাড়াহুড়া করে কাজটা মোটেও করতে চাই না। ছবি করার জন্য করতে হলে তো অনেক আগেই কাজ শুরু করে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি মোটেও এসবের পক্ষে নই। গল্প ও চরিত্র ভালো লেগেছে। চিত্রনাট্যও মুগ্ধ করেছে। এখন চরিত্রের উপযোগী নিজেকে করে তোলা। আমি যেহেতু মানসিকভাবে প্রস্তুত “মাতাল হাওয়া” ছবির জন্য, এখন নিজেকে ফিটফাট করে পর্দায় আসতে চাই। চরিত্রের প্রতি সুবিচার করতে চাই’, বলেন শাবনূর।