পিবিএ,ঢাকা: পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ মিজানুর রহমান কর্তৃক গত (১৩ ডিসেম্বর) অভিযুক্ত ১। মোছাঃ মাসুরা (৩০), ২। কদভানু (৬০)-কে গ্রেফতার করা হয়।
গত (৮ ডিসেম্বর) যশোর জেলার শার্শা থানাধীন পান্তাপাড়া গ্রামস্থ মধ্যপাড়া মাঠের রাস্তার ব্রিজের পাশে জনৈক কাওসার আলী এর পরিত্যক্ত পুকুরে একটি অজ্ঞাতনামা ২ দিন বয়সের নবজাতকের মৃতদেহ মাথায় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার হয়। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে যশোর জেলার শার্শা থানার মামলা নং-৭, তারিখ-(৮ ডিসেম্বর), ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। যশোর জেলা পুলিশ মামলাটি তদন্তশেষে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই যশোর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ)/মোঃ মিজানুর রহমান, বিপি-৮০০০০৭৮৮১২ এর উপর অর্পণ করেন। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রকাশ্য ও গোপন তদন্ত এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত (১৩ ডিসেম্বর) ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ১। মোছাঃ মাসুরা (৩০), ২। কদভানু (৬০) দ্বয়কে শার্শা থানাধীন হাজিরবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিযুক্ত মোছাঃ মাছুরা বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পিস ঢালাই ও ইট ভাটায় কাজ করতো। সে অনুমান দুই বছর আগে রাস্তার কাজ করার জন্য সিলেট জেলায় যায়। সিলেটে কাজ করার সময় তার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। অভিযুক্ত মাছুরা সিলেটে কাজশেষে ১৫ দিন পরে যশোর জেলার শার্শা থানাধীন জেলেপাড়া গ্রামে অস্থায়ীভাবে জনৈক ইসমাইলের বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। অভিযুক্ত মাছুরার স্বামী জীবিত না থাকা সত্ত্বেও তার গভে সন্তান থাকার বিষয়টি গ্রামের লোকজন বুঝতে পেরে গ্রামের লোকজন অভিযুক্ত মাছুরার গর্ভের সন্তানের পিতার পরিচয় জানতে চাইলে তারা জেলেপাড়া গ্রাম থেকে চলে এসে শার্শা থানাধীন পান্তাপাড়া গ্রামে জনৈক সিদ্দিকের বাড়িতে অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। সিদ্দিকের বাড়িতে আসার ৪ দিন পর রাত অনুমান ১২.৩০ ঘাটিকার সময় অভিযুক্ত মাছুরা এর গর্ভের ছেলে সন্তান ভুমিষ্ট হয়। অভিযুক্ত মাছুরার গর্ভে অবৈধ সন্তান জন্মলাভ করায় লোকলজ্জার ভয়ে অভিযুক্ত মাছুরা এবং তার মা অভিযুক্ত কদভানু জীবিত নবজাতককে বালতির মধ্যে করে পরিত্যাক্ত পুকুরের ঝোপের ভিতর ফেলে হত্যা করে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। অদ্য (১৩ ডিসেম্বর) তারিখে অভিযুক্ত মাছুরাকে জনাব মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত-০৩ এবং অভিযুক্ত কদভানুকে জনাব মাহাদী হাসান, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
পিবিএ/জেডএইচ