শাল্লায় ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসকের ক্ষোভ

পিবিএ,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের কালিকোটা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ। এসময় তিনি যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এবং বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় ও টিক মত স্লোপ, কম্পেকশন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি শাল্লা উপজেলার কালিকোটা হওর উপ-প্রকল্পের ৪৬ থেকে ৬৬ নং পর্যন্ত মোট ২১টি প্রকল্প পরিদর্শ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ। তবে পরিদর্শনকালে প্রকল্প গুলোতে পিআইসি’র সভাপতি ও সেক্রেটারি কাউকেই পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসক আসার খবর পেয়ে আগেই এলাকা ত্যাগ করেন পিআইসি সভাপতি সেক্রেটারিসহ সদস্যগণ। বাঁধ পরিদর্শন কালে যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এবং বাঁধের কাজে টিক মত স্লোপ, কম্পেকশন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ। এসময় তিনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার আল-মুক্তাদির হোসেনকে সংশ্লিষ্ট পিআইসি’র সভাপতিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে বিল না দেয়ার নির্দেশ দেন।

এছাড়া স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মোঃ এমরান হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ভেড়াডহর হাওর উপ-প্রকল্পের ২৮ থেকে ৩৯ নং প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ সফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম উদগল বিল হাওরের ৪০ থেকে ৪৫, ৬৭ এবং ছায়ার উপ-প্রকল্পের ৬৮ থেকে ৭৪ নং প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

বাঁধ পরিদর্শনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মোঃ এমরান হোসেন বলেন, প্রকল্প এলাকায় পিআইসির সভাপতি, সেক্রেটারিদের পাওয়া যায়নি। মাটির কাজ টিকমত হলেও বাঁধের স্লোপ ও কম্পেকশনের কাজ টিকমত হয়নি।

অন্যদিকে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমদ পরিদর্শন করে উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের বরাম হাওর উপ-প্রকল্পের ১৪ থেকে ২৭নং প্রকল্প কাজ। কাজ পরিদর্শনকালে ১৭নং পিআইসির প্রকল্প কাজে যথেষ্ট গাফিলতি ও অনিয়ম পাওয়ায় পিআইসির সভাপতি সুধীর রঞ্জন দাস ও সেক্রেটারি রতন কুমার দাসকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করেন।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসকসহ উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণ ছয়টি টীমে বিভক্ত হয়ে শাল্লায় গৃহিত মোট ১১৫টি প্রকল্প কাজ একযোগে পরিদর্শন করেন।

বাঁধ পরিদর্শন শেষে বিকেলে উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের উজানগাঁও গ্রামের পেয়ারা বানু, জমিলা খাতুন, মুক্তা বানু ও কুলসুম বেগম এই চারজন বীরাঙ্গণার বাড়িতে যান ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার আল-মুক্তাদির হোসেন, পাউবোর শাখা কর্মকর্তা ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী শমসের আলী মন্টু, বাঁধ সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তা নানু চক্রবর্তী, শাল্লা থানার এসআই সারোয়ার হোসেন, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

পিবিএ/জেএইচআর/এমএসএম

আরও পড়ুন...