হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় এক দুর্র্ধষ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
রাতে এয়ারপোর্টে শিকারের আশায় যাত্রীবেশে ঘুরে বেড়ানো অবস্থায় মো. মামুন (৩১) নামে এই অভিযুক্তকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
এয়ারপোর্ট এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, ০৬ এবং ১৩ আগস্ট অজ্ঞান পার্টির দুইটি অভিযোগ পাওয়া যায়। দুইটি অভিযোগেই একই ধরনের প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। ৫ আগস্ট দুবাই থেকে আগত অজিত সরকারের সাথে যাত্রীবেশী মামুনের পরিচয় হয়। কৌশলে প্রতারক মামুনের গন্তব্য জেনে নেয়। এর পর নিজেও একই দিকে যাবেন বলে এক সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত মামুন। আস্থা অর্জন করে যাত্রী অজিত সরকারকে জ্যুস পান করান এবং ভুক্তভোগী জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সকল মালামাল হারিয়েছেন। ১৩ আগস্ট আরো এক প্রবাসীর অভিযোগ পায় এয়ারপোর্ট এপিবিএন। যাত্রী ইয়াসিন আরাফাত ০৮ আগষ্ট দোহা থেকে ঢাকা ফেরার পর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। এ সকল অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। তদন্তে মো. মামুনকে (৩১) অভিযুক্ত অজ্ঞান পার্টির সদস্য হিসেবে শনাক্ত করে এপিবিএনের অপারেশন টিম। এর পর জাল বিছিয়ে অপেক্ষা করা হচ্ছিল মামুনের। বুধবার ( ১৬ আগস্ট ) রাত ১০ টায় অভিযুক্ত মামুনকে আবারো যাত্রী বেশেই বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান, আটক হওয়ার সময় নিজেকে যাত্রী দাবী করছিলেন মামুন। এ সময় যাত্রীর মত ব্যাগ বহন করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় মামুন। উপরে আলোচিত দুই যাত্রী অজিত এবং ইয়াসিন আরাফাত দুইজনকেই সে নিজে অজ্ঞান করে মালামাল নিয়ে সটকে পড়েছে বলে স্বীকার করেছে। অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য মামুন কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।