পিবিএ,ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরব থেকে দেশে আসা এক যাত্রীর সঙ্গে থাকা ফুলের টব এর ভেতর থেকে এক কেজি ৬০০ গ্রাম সোনাসহ যাএীকে ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। আটককৃত যাএীর নাম মো, জসিম মিয়া (২৬)। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। জব্দকৃত সোনার মধ্যে ১৪ পিস সোনার বার রয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ৬ লাখ টাকা। পরে ওই যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (২ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিমানবন্দরের ভেতরে গ্রিন চ্যানেল এলাকা অতিক্রমের সময় দুটি স্বর্ণদণ্ডসহ তাকে (যাত্রী)-কে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ টিম) মোহাম্মদ আব্দুস সাদেক সোনা আটকের বিষয়টি স্বীকার করে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদে কাস্টম হাউসের কমিশনারের কাছে খবর আসে যে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান হবে। পরে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টমস চোরাচালান প্রতিরোধ প্রিভেন্টিভ টিমের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে নজরদারি বাড়ান। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে জাজিরা এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে। পরবতীতে ওই সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বিমানে আসা যাত্রীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় জসিম মিয়া নামে এক যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাকে কাস্টমস কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন তার কাছে কোনো স্বর্ণ আছে কি-না জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে তার কাছে থাকা ব্যাগেজ ও ফুলের টব স্ক্যানিং করা হয়। এ সময় ফুলের টবে ধাতব পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়ায় যায়। ব্যাগেজ কাউন্টারে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ফুলের টবে লুকানো অবস্থায় দুটি স্বর্ণদণ্ড পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় এক কেজি ৬০০ গ্রাম। জব্দ স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ৬ লাখ টাকা। পরে ওই যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। জব্দকৃত সোনা গুলো রাষ্ট্রীয় গুদামে জমা রাখা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুস সাদেক আরও জানান, জব্দকৃত সোনার মধ্যে প্রায় ১৪ পিস সোনার বার রয়েছে। ফুলের টব এর ভেতরে সোনা গুলো তার মামা ভরে সৌদি আরবে আমাকে দিয়েছে। আমি তা জানতাম না বলে জসিম মিয়া স্বীকার করে।
এবিষয়ে সোনা চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও কাস্টম এ্যাক্ট আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
পিবিএ/মনির হোসেন জীবন/জেডএইচ