পিবিএ,কুড়িগ্রাম: সরকারী নিয়ম নীতি সময় মতো বেতন আছে নেই শুধু দায়িত্ব। আর দিনে পর দিন সরকারী সকল নিয়ম নীতি কে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে সকল নিয়ম কে অমান্য করেই চলছে শিক্ষকগন। ফলে দিনের পর দিন চরাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। এছাড়াও রয়েছে শিক্ষা অফিসের দুর্নীতি ও বদলী বানিজ্য। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন ইতি মধ্যে মার্চ মাসে কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেও টনক নড়েনি কতৃপক্ষের ও দায়িত্বে অবহেলা শিক্ষকদের।
সরকার শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিলেও তার কোনটায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না চিলমারীর চরাঞ্চলে। বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু এবং ছুটির সময়সীমা থাকলে তা মানা হচ্ছে না চিলমারী ১নং, শাখাহাতি, ঢুষমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু বিদ্যালয়ে। ক্লাস শুরু হতে ১০.৩০ থেকে বেলা ১১ টায় বাজলেও ছুটির হয়ে যায় দুপুর ২ টার মধ্যে জানালেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। স্থানীয়রা জানান দিনে দিনে শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা জিম্মী হয়ে পড়ছে বিঘ্ন হচ্ছে লেখাপাড়া।
সোমবার সরেজমিনে গেলে বৈলমনদিয়ার খাতা, ঢুষমারা, চিলমারী ১নং, শাখাহতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে একই চিত্র পাওয়া যায় এবং এলাকার লোকজন একই অভিযোগ করেন। উপজেলার, ঢুষমারা, চিলমারী ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় স্কুল তালাবদ্ধ নেই শিক্ষক, নেই কোন শিক্ষার্থী। দরজায় ঝুলানো তালা।
এসময় উপস্থিত এলাকাবাসীবাসী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয়। তাদের মতে সকাল ৯.৩০টায় বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার নিয়ম থাকলেও শিক্ষকরা আসেন ১০.৩০ থেকে ১১ টায়, আবার বিকেল ৪ টার পর ছুটি হওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রতিদিন ২টার মধ্যে ছুটি হয়ে যায়।
স্থানীয় অভিভাবকরা এ সমস্যা তুলে ধরে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করলেও কোন সমাধান পাননি তারা। তাই তারা হতাশ হয়ে ছেলে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ঢুষমারা সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এনামুলের হকের সাথে কথা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এবং অনুপস্থিত অন্য শিক্ষক ও বিদ্যালয়ে তালাবদ্ধ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেন নি।
এসময় উপস্থিত কয়েকজন জানায় অন্যান্য (শিক্ষক) অনেক আগেই তালা দিয়ে চলে গেছেন। আর এই স্যার (এনামুল) প্রতিদিন সবার পরে যায়। একই চিত্র মেলে বাকি বিদ্যালয় গুলোতে এবং একই সুর ছুটি ২টার মধ্যে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে কতিপয় শিক্ষক শিক্ষা অফিসারের সাথে আতাত করে কাজে অবহেলা ও অর্থের লোভে সদর থেকে বদলী হয়ে চলাঞ্চলের বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন চিলমারীর বেশ কিছু বিদ্যালয় পরিদর্শন ও শিক্ষকদের সাথে মতোবিনিময় করলেও টনক নড়েনি কারো ফলে অভিভাবকদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ বাড়ছে হতাশ।
পিবিএ/এমআইবি/আরআই