সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনে এ সভা শুরু হয়।
সভায় তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষসহ তিন অধ্যাপক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা এবং গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের ১২ শিক্ষার্থী বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত রেলকর্মীরা লাল পতাকা দেখিয়ে রেললাইন ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যান। পরে লাইনে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লাল পতাকা দেখে ধীরে ধীরে ট্রেনের গতি থামিয়ে মহাখালী রেলগেটের কাছাকাছি এসে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহাখালী থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ট্রেনটির লোকোমাস্টার আব্দুল লতিফ বলেন, ট্রেন আটকে দেওয়ার ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবেই ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষকে আমরা জানাই। তারা আমাদের নির্দেশনা দেন ট্রেনটি পেছনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী এখন ট্রেন পেছানো হচ্ছে। এটি সম্ভবত তেজগাঁও রেলস্টেশনে রাখা হবে। বিষয়টি আমি নিশ্চিত নই। আমাকে যে জায়গায় সিগন্যাল দেওয়া হবে সেখানেই থামবো।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়।
সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেন পাঁচ শিক্ষার্থী। পরদিন ৩০ জানুয়ারি দুপুর থেকে সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।