পিবিএ ডেস্ক: নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে আটক শিক্ষিকা হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে তৃতীয় দিনের মত বিক্ষোভ করছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বেলা ১১টায় স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এরপর পৌনে ১২টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেয় সাবেক শিক্ষার্থীরা, আছেন অবিভাবকরাও। বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই আজকে পরীক্ষা শেষ করে বিক্ষোভে অংশ নেয়। এছাড়া অনেক অবিভাবককে দেখা যায় পরীক্ষা শেষে তাদের সন্তানদের বাসায় নিয়ে যেতে।
শিক্ষার্থীদের দাবি আমলে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোজা আক্তার।
তিনি বলেন, দাবি না মানলে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না।
এর আগে নকলের অভিযোগে অভিভাবককে ডেকে অপমান করায় গত সোমবার দুপুরে আত্মহত্যা করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী।
এই ঘটনায় রাতেই ‘আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী’ হিসেবে ভিকারুননিসার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রীর বাবা। সেই মামলায় ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও তাদের এমপিও বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত বুধবার মধ্যরাতে শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে উত্তরার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে হাসনা হেনার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাদের দাবি অরিত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী অধ্যক্ষ ও শাখার প্রধান শিক্ষক।
অথচ তাদের বাদ দিয়ে মায়ের মতো শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষিকা হাসনা হেনার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। পাশাপাশি দাবি আদায়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে অংশ নেয়া উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী ফারিয়া লামিয়া বলেন, ‘হাসনা হেনা ম্যাডাম সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। অচিরেই তাকে মুক্তি দিতে হবে। আমরা তার মুক্তি চাই।’
পিবিএ/এফএস