পিবিএ, অ আ আবীর আকাশ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রাম লিংকডইনসহ যাবতীয় সুবিধা মাধ্যমগুলো একদিকে প্রযুক্তির কল্যাণে ভয়ে এনেছে আমাদের জন্য জীবন মানে সহজ সাবলীল উন্নত ব্যবস্থা, অন্যদিকে তা ছোট ছোট শিশুদের হাতে হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ, আতঙ্কময়। এতে এ মাধ্যমগুলোয় তাদের আসক্তি বাড়িয়ে পড়ালেখা, বিদ্যাশিক্ষা শিকে তুলে উঠাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক সহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি মানুষ সম্পৃক্ত। এসব দিয়ে যেমন একে অপরের সাথে পরিচিত হওয়া যায় আবার মুহূর্তের মধ্যে জানা যায় বিশ্বের কোথায় কি ঘটছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে গণমাধ্যম এর চেয়েও দ্রুত খবরা খবর পৌঁছে দিচ্ছে জনগণের মাঝে। সাধারণ মানুষ এ কারণে উপকৃত হচ্ছে।
তবে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে বলতে হচ্ছে -আমাদের শিশুদের ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রাম এ ঢুকে পড়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকে পড়ছে, দিনকে দিন এসব আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক! অভিভাবকেরা যদি এখনই কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, সচেতন না হন তবে ভয়ানক পরিস্থিতির মুখে পড়বে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত ব্যবহারে আমাদের সুবিধা হলেও শিশুর ব্যবহার উপযোগী কোন অ্যাপস বা মাধ্যম এখনো আবিষ্কৃত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি গবেষণায় এসেছে যে- মাসে অন্তত একবার ফেসবুকে আসেন এমন লোকের সংখ্যা ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য মতে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন কোটি। ২০১৫ সালে এপ্রিলে একটি গবেষণায় এসেছে যে সারা বিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা সেরা। ফেসবুক ভায়োলেন্স এন্ড সেফটি অফ চিল্ড্রেন ইন বাংলাদেশ নামের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে উঠেছে। ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে 8 বছরের কম বয়সী শিশু ফেসবুক ব্যবহার করছে। গবেষণা জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৪ শতাংশ স্বীকার করেছে তারা ১৩ বছরের কম বয়সী হলেও আইন অমান্য করে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সুতরাং কথা না বাড়িয়ে অভিভাবকদের চোখ কান খোলা রেখে সতর্ক থাকতে হবে। নইলে মহা বিপদের মুখে পড়তে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে।
লেখক: কবি কলামিস্ট/বিএইচ