শিশুদের ভবিষ্যত বিনির্মাণে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

পিবিএ,ঢাকা: শিশুরা দেশের ভবিষ্যত হওয়ায় তাদের জীবন আরো উন্নত বিনির্মাণ করার জন্য সরকার সব কিছু করছে বলে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা শিশুদের জীবন আরো রঙিন, সুন্দর, সফল এবং ফলপ্রসূ করতে চাই, এটি আমাদের লক্ষ্য।’

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পা রেখেছি, আমরা এখানেই থামব না, বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে যেতে হবে, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ করা।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং সব নীতিমালা প্রণয়ন করছে।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা নীতি অনুসরণ করবে এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন, আমরা সেটাই চাই।’

শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সরকার অপরাধীদের আরো কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধন করেছে।

দেশের শিশুদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূলে করে দিয়েছিলেন এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে করেছেন।

শিশুদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে শিশু আইন কার্যকর করেছেন।

তিনি বলেন, তার সরকার ২০১১ সালে জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য সরকারও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং শিশুরা যাতে শিক্ষা, খেলাধুলা, শারীরিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনের সুযোগ পেতে পারে সে জন্যও বিশেষ নজর দিয়েছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অনুশা।

এবারের শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সাইয়েদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘আমার বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

পিবিএ/জেডএইচ

আরও পড়ুন...