পিবিএ,জলঢাকা: নীলফামারীর জলঢাকা পল্লীতে পূর্ব ঘটনার জের হিসেবে এক শিশুর গায়ে গরম পানি ঢেলে শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে শিশুটি জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অবস্থায় অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করছে। জানা যায়, উপজেলার পূর্ব বালাগ্রাম মসজিদ পাড়া এলাকায় বুধবার রাতে আব্দুল লতিফের স্ত্রী রোজিনা বেগমের সাথে ঝগড়া হয় প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের সাথে। সেই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার আব্দুল লতিফ ঝগড়া শুরু করে।
এক পর্যায়ে আব্দুল লতিফ শিশু ফজলে রাব্বি (৪) গায়ে গরম পানি ঢেলে দিলে সাথেই ঝলসে যায় শিশুটির শরীর। শিশুটির বাবা আব্দুর রহমান জানান, ‘ঈদের রাতে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। ফেরার পথে কুমিল্লায় শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া প্রতিবেশী আতা মামুদের ছেলে আব্দুল লতিফের রান্না ঘরে শব্দ পাই। চোর ভেবে এগিয়ে গিয়ে দেখি লতিফের স্ত্রী রোজিনা বেগম ওরফে শহরী এলাকার খাতির মামুদের ছেলে মাহাবুরের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ।
এক পর্যায়ে মাহাবুর সেখান হতে পালিয়ে যায়। এবং শহরী মাহাবুরের পরিবারের শরণাপন্ন হয়। এতে মাহাবুরের চাচা সাইদুল,সিরাজুল এক জোট হয়ে রাতেই আমার ঘর-বাড়ীতে ভাংচুর চালায়। পরে শুক্রবার সকালে আব্দুল লতিফ কুমিল্লা হতে বাড়ী ফিরলে শহরী আবারো আমার বাড়ীর উপর এসে ঝগড়া শুরু করে। তারা আমাকে আক্রমন করার চেষ্টা করলে আমি সরে যাই। এক পর্যায়ে আমাকে হাতের কাছে না পেয়ে পাশে উনুনের উপর চা করতে বসানো গরম পানির পাত্রটি আমার ছেলের গায়ে ঢেলে দেয় লতিফ। ’
প্রতিবেশী আব্দুল গফুর, তোজাম্মেল ও আব্দুল হালিম জানায়, ‘শুক্রবার কুমিল্লা হতে লতিফ বাড়ীতে এসেই তার স্ত্রীসহ ঢুকে পরে আব্দুর রহমানের বাড়ীতে। শুরু হয় হাতাহাতি। শোরগোল শুনে এগিয়ে আসলে দেখি আতরক্ষার্থে আব্দুর রহমান ঘরে ঢুকে আছে। এবং লতিফ গালিগালাজ করতে করতে এক পর্যায়ে চুলার উপর থাকা চা তৈরীর জন্য গরম পানির পাত্রটি পাশে দাড়িয়ে থাকা শিশুটির শরীরে ঢেলে দেয়।’
শনিবার (৮জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেড এ সিদ্দিকী বলেন, ‘শিশুটির পায়ে ১৫% জায়গা পুড়ে গেছে। আজ শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান পিবিএকে বলেন, ‘শিশুটির বাবা আব্দুর রহমান একটি অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
পিবিএ/এএস/আরআই