পিরোজপুরে ১০ বছরের শিশু ফাতেমা আক্তার ইতিকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক আসামী মো. সুমন জোমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। রবিবার চট্রগ্রাম মহানগরীর
ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এন্টি টেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শিশু ফাতেমা আক্তার ইতি (১০) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলাস্থ নানার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তেন। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে তিনি গরুকে ঘাস খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হন। সারাদিন ঘরে না ফেরায় শিশুটির পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরদিন দুপুরে পাশের বাড়ির একটি বাগানে ফাতেমার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হলে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পিরোজপুর আসামী সুমন জোমাদ্দার (২৭) সহ ২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। মামলাটিতে গ্রেফতার হয়ে সুমন জোমাদ্দার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন। তবে গত ৬ আগষ্ট কাশিমপুর কারাগারে হামলা-ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে অন্যান্যদের সঙ্গে আসামী মো. সুমন জোমাদ্দার (২৭) জেল থেকে পলায়ন করত আত্মগোপন করেন।
এ ঘটনা কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের দায়ের হলে কোনাবাড়ী থানার অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে এটিইউএর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এটিইউ জানায় গ্রেফতারকৃত আসামী মো. সুমন জোমাদ্দার (২৭) মঠবাড়িয়া থানার আরও ১০ টি মামলার এজাহারনামীয় আসামী। তাকে জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।